ফলাফল আসতেই বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল, নাম না করেই বিধায়কের বিরুদ্ধে তোপ দলের নেতার

পুরভোটে রাজ্য জুড়ে সবুজ ঝড়। একাধিক এলাকায় বিরোধী শিবিরের হাত থেকে ক্ষমতা একেবারে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। পুরভোটের ফলাফল ( Municipal Election Result ) আসার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে এক অন্যরকম উত্তেজনা। শাসক ভোট চুরি করেছে বলে অভিযোগ একাধিক বিরোধী শিবিরের। এই পরিস্থিতি আবার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিতে শুরু গোষ্ঠী কোন্দল। পুরভোটের ফলাফল সামনে আসতেই প্রকাশ পেল রাজ্য জুড়ে বিজেপির ভরাডুবির চিত্র। আর তার জেরেই দলের মধ্যে যেন উত্থান হল গোষ্ঠী কোন্দলের।

পুরভোটে কোচবিহারে বিপর্যয় ঘটেছে বিজেপিতে। আট মাস আগে যে জেলায় বিধানসভা নির্বাচনে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্র নিজের ঝুলিতে ঢুকিয়ে নিয়ে ছিল বিজেপি। সেখানে ( Municipal Election Result ) পুরভোট আসতেই যেন গোটা চিত্রটাই পরিবর্তন হয়ে গেল। পুরভোটের ফলাফল অনুযায়ী, ৬ পুরসভার  ৮০টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটিতেও জিততে পারেনি তারা। আর এই নিয়েই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে শুরু হয় শোরগোল। নাম না করেই বিধায়ককে নিশানা করলেন দলেরই এক নেতা।

আরও পড়ুন…..নারী অনুরাগে আসক্ত শেন ওয়ার্ন, বিবাহ-‌বিচ্ছিন্না স্ত্রী সিমোনের বিরক্তের কারণ রহস্যময়

উল্লেখ্য, পুরভোটের খারাপ ফলাফলের ( Municipal Election Result ) কারণ নিয়ে পর্যালোচনা করতে এদিন জেলার পার্টি অফিসে বৈঠকে ডেকে ছিল বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি ও কোচবিহার উত্তরে বিধায়ক সুকুমার রায় ও কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। যিনি পুরভোটে কোচবিহার শহরের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও নাম না করেই নিখিলরঞ্জন দে-কে নিশানা করে ফেসবুকে ( Municipal Election Result ) বিস্ফোরক মন্তব্য লিখে পোস্ট করেছেন জেলা বিজেপির অফিস সম্পাদক রাজু রায়। তিনি লিখেছেন, ‘নিজেদের ব্যর্থতা অন্য নেতাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তা হলে কী জনগণ অন্যান্য নেতৃত্বের কথা শুনছে? তা হলে আপনাদের ইস্তফা দেওয়া উচিত।’

প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্য জুড়ে বিজেপির উত্থান হলেও রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে সুকান্ত মজুমদার নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির আকাশে ( Municipal Election Result ) এসে গেছে ব্যর্থতার মেঘ, এমনটাই মতামত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আর সেই থেকেই দলের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা রকমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নব্য ও আদি বিজেপিদের মধ্যে দিয়ে উত্থান হয় সংঘাতের। বর্তমানে এই দ্বন্দ্ব পৌঁছে গেছে বঙ্গ বিজেপির সর্ব স্তরে। আর এই দ্বন্দ্বকেই কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক উন্নতিতে মেতে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল।




Leave a Reply

Back to top button