ধ্বংসস্তূপে পরিণত ইউক্রেন! এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বিশ্বের আন্তর্জাতিক ( Russia-Ukraine War ) পরিস্থিতিতে। রাশিয়ার টানা আক্রমণের জেরে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। এমতাবস্থায় যুদ্ধের দশমদিনে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া। ইতিমধ্যে আসা খবর অনুযায়ী, সাধারণ নাগরিকদের বের করে আনার জন্যই এই সিধান্ত নিল রাশিয়া। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে ইউক্রেনের উপর অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। যুদ্ধের আগুনে জ্বলছে গোটা দেশ। আর এই যুদ্ধের জেরে চিন্তায় পড় গেছে বিশ্বের বাকি দেশগুলোও। প্রতিবছর ইউক্রেনে পড়াশোনার সূত্রে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বহু ছাত্রছাত্রীরা সেখানে যায়। রাশিয়ার হটাৎ আক্রমণে যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই আটকে পড়ে সেই পড়ুয়ারা। আটকে পড়া পড়ুয়াদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়। ফলত, পরিস্থিতির ভয়াবহতার সাথেই চিন্তার মেঘ ঘনিয়েছে ভারতের আকাশেও।
ইতিমধ্যে অনেক পড়ুয়াদেরই সেখান থেকে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইউক্রেনের সীমান্ত মাধ্যম উদ্ধার করা হয়েছে বহু পড়ুয়াদের। যুদ্ধের মাঝে পড়ে প্রাণ নিয়ে চিন্তা বেড়ে গিয়েছিল সকলের। এমতাবস্থায়, রাশিয়ার বোমা বর্ষণের জেরে মৃত্যু হয় এক ভারতীয় পড়ুয়ার। যার জেরে আন্তর্জাতিক দিক থেকেও চাপ পড়তে থাকে পুতিনের উপর। কিন্তু তারপরও নিজের উপর আসা সমস্ত অভিযোগকে এড়িয়ে গিয়ে আক্রমণেই ব্যস্ত থাকে সে। সময়ের সাথে সাথে ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে শুরু করে। ইউক্রেনের অধিকাংশ শহর বর্তমানে পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। খারকিভের পাশে একটি গ্রাম বোমার বর্ষণে মিশে গিয়েছে মাটির সাথে। চিন্তায় ঘুম উড়েছে সেখানকার মানুষজনের। প্রতি মুহূর্তে যেন চোখ রাঙানি সেই রুশ রাক্ষসের। প্রাণ বাঁচাতে ঘর-বাড়ি ছেড়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে যুদ্ধ বাংকারে। নেই খাদ্য, নেই জল। এই ভাবেই চলছে প্রতিটা দিন।
বাইরে থেকে সর্বক্ষণ বোমার আওয়াজ। রাত বাড়ার সাথে সাথে শীতের প্রকোপ খেয়ে ফেলছে তাদের। এমন ভাবেই কেটে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এদিকে চিনের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক সমস্ত প্রভাবকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে পুতিন। ক্রমাগত বাড়িয়ে যাচ্ছে নিজের আক্রমণের প্রভাব। মানুষের জীবনকে পরিণত করে চলছে নরকে। এমতাবস্থায়, হটাৎই সাময়িক যুদ্ধবিরতির ডাক দিল রুশ সরকার। মূলত, সেখানে থাকা বিদেশীদের উদ্ধার করে বের করে নিয়ে আসার উদ্দেশে এই সিধান্ত নিল পুতিন সরকার।
উল্লেখ্য, এই সিধান্তে অবশ্য অন্য সঙ্কেত দেখছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, পুতিনের এই সিধান্ত হয় তো কোনও অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাবে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে। আর বর্তমান সময়ে ইউক্রেনে থাকা বিদেশীদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হলেও, সেখানকার জনগণের সুরক্ষা নিয়ে একবারও ভাবছে না রুশ সরকার।