সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর ! পুজোর আগে কোন মদের দাম কত কমল ,জেনে নিন
পুজোর আগেই রাজ্যে কমবে মদের দাম, এমনটাই জানা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ এক্সসাইস ডিপার্টমেন্টের তরফে। গত কয়েক মাসের সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান মেড ফরেন লিকার ( আই। এম। এফ। এল ) এর দামবৃদ্ধির জন্যে ভাটা পড়েছে মদ বিক্রয়ে। গতবছর এপ্রিলে করোনা আবহের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দামবৃদ্ধির দরুন ইন্ডিয়ান মেড ফরেন লিকারের বিক্রির গ্রাফ নিম্নগামী হতে শুরু করে।
এক্সসাইস ডিপার্টমেন্টের সার্ভে অনুযায়ী ২০২১এর প্রথমার্ধে ২৮% মার্কেট ড্রপ দেখার পর , পানীয় কোম্পানিগুলি এবং এক্সসাইস ডিপার্টমেন্ট এর মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে গত বছর, অর্থাৎ ২০২০র বাৎসরিক রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বছরের বিক্রিতেও ৩০% ঘাটতি দেখা যায়।
পিএলআর চেম্বার্স এবং আইসিআরআইইআর (ICRIER) এক যুগ্ম সার্ভে অনুযায়ী ভারতে উত্তর প্রদেশের পরই সব থেকে বেশি মদ বিক্রি হয়ে পশ্চিমবঙ্গে। ১.৪ কোটি মানুষ প্রত্যেকদিন মদ্যপান করেন যার দরুন রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প হলো সুরা ব্যবসা। সরকারের কোষাগারে টান পড়তেই মদের দাম কমানো হয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।
গতবছর অক্টোবরে বিয়ারের দাম একাধাক্কায় ৩০% কমায় হৈচৈ পড়ে যায় চারিদিকে। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসে বাজারে বিয়ারের চাহিদা হয়ে ওঠে সর্বোপরি। ৭.৪ লক্ষ কার্টনের ( ১ কার্টুনে থাকে ১২টা করে ৬৫০ মিলিলিটারের বোতল ) , যা ২০২০ সালের থেকে ৪.৩ লক্ষ বেশি। এই চাহিদা মেটানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছিল বিয়ার কোম্পানি গুলোর পক্ষে।
যদিও এখনও পর্যন্ত এক্সসাইস বিভাগের থেকে এই বিষয়ে কোনো লিখিত সম্মতি পাওয়া যায়নি, তবে এক পানীয় কোম্পানির কর্মকর্তার মতে এই সেপ্টেম্বর থেকেই কমবে মমদের দাম, আর সেই নির্দেশিকা আর কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যাবে এক্সসাইস বিভাগের তরফ থেকে। নানান অর্থনীতিবিদ এবং পানীয় বিশেষজ্ঞরা এই প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে এই সিদ্ধান্তটি আগে নিলেই আরও কার্যকরী হতে পারতো অর্থনীতির জন্যে। বলা বাহুল্য , রাজ্যের সকল সুরাপ্রেমী মানুষেরা এখন প্রমোদ গুনছে সেপ্টেম্বারের জন্যে ।