Russia-Ukraine War: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম শরণার্থীর কোটা পেরোলো ১ মিলিয়ন, জানালো UN

ইউক্রেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ন্যাটোর কাছে আবেদন জানান ইউক্রেনকে নো ফ্লাই জোন ঘোষিত করার জন্য, কিন্তু ন্যাটো তা মানতে নারাজ(Russia-Ukraine War)। ইউক্রেনকে নো ফ্লাই জোন ঘোষনা করলে রাশিয়ার পক্ষে সেখানে বিমানহানা করা সম্ভব হতো না। ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে রবিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন সাফ জানিয়ে দেয় রাশিয়ার উপর পশ্চিমী দেশগুলির বিশেষত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তিনি ভালো চোখে দেখছেন না(Russia-Ukraine War)।ইতিমধ্যেই এই খবরও পাওয়া যাচ্ছে, মারিওপুলে যে করিডোরের মাধ্যমে ইউক্রেনবাসীর দেশ ছাড়ার কথা সেই করিডোর গড়তে অক্ষম রাশিয়া- ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। দুপক্ষই একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে(Russia-Ukraine War)।
আরও পড়ুন: কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকাদের বয়স জানলে আপনি অবাক হবেন,জেনে নিন কার বয়স কত
এদিকে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস ইউক্রেনে এখনও যে সমস্ত ভারতীয় আটকে রয়েছে তাদের জন্য অনলাইনে ফর্ম ফিলাপের ব্যবস্থা করেছে। বেশিরভাগ ভারতীয়দেরই ইউক্রেন থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ভারত কিন্তু বেশ কয়েকজন রয়ে গিয়েছে সেই দেশে। এদিকে ভারতের মিশন গঙ্গার শেষ ফ্লাইট আজকেই ছাড়বে। হাঙ্গেরির ভারতীয় দূতাবাস জানায় যে সমস্ত ভারতীয় এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে আটকে রয়েছে তাদের আজ রাতেই হাঙ্গেরির সীমান্তে পৌঁছাতে অনুরোধ করে। রোমানিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মাধ্যমে দেশে ফেরানো হয় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এইদিন জানান ইতিমধ্যেই প্রায় ১৩,৩০০ ভারতীয়দের দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে(Russia-Ukraine War)। তিনি আরো জানান সমি শহরে আটকে থাকা প্রায় ৭০০ ভারতীয়দের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনাই ভারতের মূল লক্ষ্য এইমুহুর্তে। এরই মাঝে ইউনাইটেড নেশনস জানায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো যুদ্ধে শরণার্থীর সংখ্যা পৌঁছিয়েছে প্রায় ১,৫০০,০০০ জনের কাছাকাছি। জ্যাপরিতজিয়ার পরমাণু কেন্দ্রে হামলা করার পর রাশিয়াকে সারা বিশ্বের নিন্দার মুখে পড়তে হয়। এই হামলা চেরনোবিল – এর স্মৃতি উস্কে দিয়েছেন বলে দাবি করেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। জ্যাপরিতজিয়ায় আক্রমণের পর ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জানান যে এই ঘটনার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে মস্কো আবার চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়কে ফিরিয়ে আনতে চাইছে।
আরও পড়ুন: বাংলার প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপন, এ যেন এক ‘নয়া ইতিহাস’
তিনি আরো জানান যে তিনি ইতিমধ্যেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই বিষয়ে। রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি জানান, “আমাদের ইতিহাসে এই প্রথম। মানবজাতির ইতিহাসে এই প্রথম। সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এখন পারমাণবিক সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। বিস্ফোরণ হলেই সব শেষ। ইউরোপের শেষ। এটি ইউরোপের উচ্ছেদ। শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক ইউরোপীয় পদক্ষেপই রুশ সেনাদের থামাতে পারে”।