উপনির্বাচন প্রার্থী বাবুল-সিনহা, নীতির কথা তুলে মমতাকে তোপ শতরূপের

আগামী ১২ই এপ্রিল আসানসোল, বালিগঞ্জে উপনির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ( By-Election ) ঘিরে ইতিমধ্যে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। আর সেই দুই নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই প্রার্থীর নামকে ঘিরেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন উত্তেজনা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের টুইটার মাধ্যমে টুইট করে দুই কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি লেখেন, ‘প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিখ্যাত অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে আসানসোল লোকসভা থেকে উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন করা হয়েছে।’ এছাড়াও এদিন তিনি আরও একটি টুইট করে লেখেন, ‘প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ( By-Election ) বাবুল সুপ্রিয়কে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন করা হয়েছে।’ ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইট  ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তোপ দেগেছেন বাম সৈনিক শতরুপ ঘোষ। এদিন তিনি নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী লড়াইকে শক্তিশালী করতে দুই বিজেপি নেতাকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করলেন সেকুলারিজমের পরাকাষ্ঠা মমতা ব্যানার্জি।’

উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর মৃত্যু হয় রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। ৭৫ বছর বয়সে এসএসকেএম হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া দেখা যায় রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। গত বছর বিধানসভা ভোটে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার পঞ্চায়েত মন্ত্রী হন তিনি। তারপরই শারীরিক অসুস্থতা ও মৃত্যু। এরপরই বিজেপির মন্ত্রীসভায় রদবদলের পর বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ট্যাগ করেন। নিজেকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কথা বলেন এবং অবশেষে তৃণমূলে এসে যোগদান করেন। আপাতত আগামীদিনের উপ নির্বাচনে বালিগঞ্জ বিধানসভা থেকে তাঁকে প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছে তৃণমূল সুপ্রিমো।

এদিকে, আগামী ১২ই এপ্রিল আসানসোল ও বালিগঞ্জ উপনির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগেই বড় চমক দিল তৃণমূল। এককালের  বিজেপির নেতাকে তুলে ধরলেন নিজেদের প্রার্থী হিসাবে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস থেকে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করা শত্রুঘ্ন সিনহা এর আগে পটনা সাহিব থেকে বিজেপির সাংসদ ছিলেন। পরে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলের বিদেশনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা হিসাবেই দলে যুক্ত হন। সক্রিয় রাজনীতিতে অনেকদিন পর ফেরা তাঁর। আর ফিরেই নতুন চমক। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচন প্রার্থী হিসাবেই মনোনীত করা হল তাঁকে।




Leave a Reply

Back to top button