অভিনেতা থেকে রাজনীতির ময়দানে! এই বিরাট পথে পাড়ি দিয়েছেন শত ফুল

ভোটের ময়দানে তৃণমূলের নতুন চমক। এককালের জাঁদরেল নেতাকে ফের টেনে আনা রাজনীতির ময়দানে। আগামী ১২ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে উপনির্বাচন। আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা আয়োজিত হতে চলেছে উপনির্বাচন। আর এই ভোটের মরসুমে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। নির্বাচনী দামাম বেজে ওঠার পর থেকেই তৃণমূল তরফে প্রার্থীদের নাম নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। রবিবারের বেলায় যখন রাজ্যবাসী বেশ শান্তিতে মসগুল তখন সেই রাজনীতির জল্পনাতে জল ঢেলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা করলেন আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভার প্রার্থীদের নাম। আর তাতেই চমকে উঠল রাজ্য রাজনীতি।

এককালের বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকেই ( Shatrughan Sinha ) এবারের আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন করেছে দল। একদা পটনা সাহিব থেকে বিজেপির সাংসদ ছিলেন তিনি। পরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান। বহুদিন পর্যন্ত তৃণমূলের বিদেশনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতার কাজ করেছেন তিনি। অবশেষে, এবার ফের রাজনীতির ময়দানে দেখা যাবে শত্রুঘ্ন বাবুকে। না ভুল বলা হল হয় তো; শত্রুঘ্ন বাবু নয়, ( Shatrughan Sinha ) বিহারি বাবু! বহুদিন পর্যন্ত সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। তাহলে এই হটাৎ প্রত্যাবর্তনের পিছনে ঠিক কোন কারণকে দেখছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা?

উল্লেখ্য, জনপ্রিয় অভিনেতার পাশাপাশি বিহারের বাসিন্দা তিনি। যার জেরে প্রতিবেশী রাজ্যেও রয়েছে তাঁর বেশ প্রভাব। সেই জন্য বিজেপি তরফে পটনা সাহিব থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। এছাড়াও, আসানসোলে বাঙালির পাশাপাশি বিহার ও ঝাড়খন্ডেরও বহু মানুষ বসবাস করেন। তাই অবাঙালি ভোট ব্যাঙ্ককে দখলে নিতে শত্রুঘ্ন সিনহাকেই হাতিয়ার করেছে দল। আসানসোলের ভোটব্যাঙ্কের উপর ( Shatrughan Sinha ) বিহারি বাবুর প্রভাব বেশ। আর সেই প্রভাবকেই হাতিয়ার করতে মরিয়া তৃণমূল।

আরও পড়ুন..আধার কাটালো জীবনের অন্ধকার, নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা

প্রসঙ্গত,  ১৯৭৯ সালে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কালা পাথ্থর সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।  সেই সিনেমাটি কোলিয়ারির প্রেক্ষাপটেই তৈরি হয়েছিল। এবার সত্যি সত্যিই কোলিয়ারি অঞ্চলেই লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে শত্রুঘ্ন সিনহাকে। আর সেই চলচিত্রই হয় তো এবারের ভোটে হতে পারে প্রচারের হাতিয়ার। এদিকে, ( Shatrughan Sinha ) শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করায় বেশ খুশি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে, বিজেপি তরফে জানানো হয়েছে, ‘বহিরাগত কে গ্রহণ করবে না আসানসোলের সাধারণ মানুষ।’ এই প্রসঙ্গে আবার বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে বলেন, “আসানসোলের মানুষ কোনও বহিরাগতকে চায় না, বরং তারা পরিচিত কোনও মুখকেই গ্রহণ করবেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বরাই ঠিক করে দেবেন, আসানসোবের প্রার্থী কে হবেন।”




Leave a Reply

Back to top button