যুদ্ধের জেরে বয়সের বলিরেখা পুতিনের মুখে! পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ হচ্ছে ‘বোটক্স’ ট্রিটমেন্ট

রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) এর বয়স ৬৯। কিন্তু, তাঁর সুঠাম দেহ, চোখে-মুখে বলিরেখার চিহ্নমাত্র নেই। তাঁর এই মারকাটারি চেহারা এতদিন অনেকের কাছেই চিন্তার বিষয় ছিল। সোনালি চুল, তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আজও পুতিন ঝড় তোলেন বহু তরুণী হৃদয়ে। কিন্তু, নিন্দুকদের কথায়, চেহারায় যাতে বার্ধক্যের ছাপ না পড়ে সেজন্য বিস্তর কাঠখড় পোহাতে হয় পুতিনকে। কিন্তু, এবার হয়তো ‘বুড়ো’ দেখাতে পারে পুতিনকে। কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে যুদ্ধ! আর বয়স ধরে রাখতে পারবেন না এই রাষ্ট্রনেতা। 

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের জেরে কার্যত খলনায়ক হয়ে উঠেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট (Vladimir Putin)। তবে সামরিক অভিযানের অনেক আগে থেকেই চর্চায় থাকা রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে একজন এই ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। ৬৯ বছর বয়সেও তাঁর সুঠাম চেহারা রীতিমতো নজর কাড়ে। গত ১০ বছর ধরে একটানা রুশ প্রেসিডেন্টের (Vladimir Putin) আসনে থাকা পুতিনের ব্যক্তিগত জীবনও বিভিন্ন সময়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কী ভাবে ৭০- এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও তাঁর মুখে কোনও ভাঁজ পড়েনি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। একসময় সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল তারুণ্য ধরে রাখার সেই রহস্য। কিন্তু যুদ্ধের পরিস্থিতি সেই পথেও বাধা পড়েছে বসে সূ্ত্রের খবর।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের তলায় বা কপালের চামড়ায় এক স্বাভাবিক ভাঁজ পড়তে শুরু করে। কিন্তু পুতিনের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায়না। (Vladimir Putin)। একসময় সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল, পুতিনের (Vladimir Putin) বয়স ধরে রাখার সেই রহস্য। জানা যায়, ‘বোটক্স’ (Botox Treatment) ব্যবহার করেন তিনি। ‘বোটক্স’  (Botox Treatment) আদতে একটি সংস্থার নাম, যারা এমন একটি পণ্য বিক্রি করেন যা ব্যবহার করলে চোখের তলার বা কপালের ভাঁজ মুছে যায়। আসলে বোটক্স  (Botox Treatment) ব্যবহার করে বিশেষ স্নায়ু ও বিশেষ পেশীতে এমন পরিবর্তন আনা সম্ভব, যাতে বয়সের স্বাভাবিক ভাঁজ ধরা পড়ে না। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সব পণ্য ব্যবহার করেন পুতিন।

২০১১ সালে রুশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কিয়েভে গিয়েছিলেন পুতিন। সেখানে তোলা একটি ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যেখানে তাঁর চোখের তলার ভাঁজ বেশ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। সেই ভাঁজ নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকেই হঠাৎ পরিবর্তন দেখা যায় পুতিনের মুখে-চোখে। আলোচনার মাত্রা এত বেশি ছিল যে, পুতিনের মুখপাত্র ব্যাখ্যা দিয়ে জানান আলো এমনভাবে পড়েছিল যাতে ভাঁজ বোঝা যাচ্ছিল। পুতিন ক্লান্ত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে চিকিৎসকদের থেকে জানা যায়, ত্বকের জৌলুশ ধরে রাখতে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার সাহায্যও নেন পুতিন। সেই সময়েই ‘বোটক্সে’র  (Botox Treatment) বিষয়টি সামনে আসে।

রাশিয়ায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে অনেকে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা যেমন লিলি অ্যান্ড কো, অ্যাবিভি ইঙ্গ জানিয়েছে তারা আর এই দেশে অত্যন্ত জটিল রোগ ছাড়া কোনও ওষুধ সরবরাহ করবে না। উল্লেখ্য, অ্যাবিভি ইঙ্ক বোটক্স তৈরি করে। সেক্ষেত্রে আর যৌবন ধরে রাখার জন্য বোটক্স করাতে পারবেন না পুতিন, কটাক্ষ নিন্দুকদের। তাদের কথায়, এবার কি তবে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে তাঁর কপালে? 

আরও পড়ুন আর্কাইভিস্ট রব মুডি, বিশ্ব ক্রিকেটের যাবতীয় ফুটেজ রয়েছে ইউটিউবার রবের কাছে

আরও পড়ুন রূপে মুগ্ধ দুনিয়া! মিস ওয়ার্ল্ড ২০২১- র বিজয়ী পোল্যান্ডের ক্যারোলিনা বিলাস্কা




Leave a Reply

Back to top button