খাদ্যের অভাবে লঙ্কা ছেড়ে ভারতে, রইল দু’বছরে শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া হওয়ার কারণ

ফের জ্বলছে লঙ্কা! রামায়ণে বর্ণিত সেই দৃশ্যের যেন পুনঃরাবৃত্তি। সেই কালে হনুমানের ল্যাজের আগুনে জ্বলে উঠেছিল রাবণ রাজ্য। তবে এবার পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। বিগত কয়েকদিন ধরেই আর্থিক যন্ত্রণায় জ্বলে উঠেছে রাবণ রাজ্য। মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্য সংকটের জেরে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে সেখানকার মানুষের জনজীবন। করোনা মহামারির প্রকোপে পড়ে দু বছরেই নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে সেখানকার মানুষজন। সোনার চেয়ে বেশি দামি হয়ে উঠেছে দুধ। দুবেলার খাদ্য জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে লঙ্কাবাসীদের।
মাত্র তিন বছর নতুন সরকারের সঙ্গে পথ চলা শুরু করেছিল সেই দেশ। কিন্তু তার মধ্যেই করোনা মহামারির আক্রমণ একেবারে নিঃস্ব করে দিল সেই তাঁদের। বিশ্ব রাজনীতির ( World Politics ) ওয়াকিবহাল মহলের মতে, করোনা মহামারির ( Pandemic ) কালীন রাজাপাকসা সরকারের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবেই বর্তমানে এই বেহাল দশার শিকার শ্রীলঙ্কা। উল্লেখ্য, একটি দেশের ভাঁড়ারে যত বেশি বিদেশি টাকা থাকে, তার আর্থিক পরিস্থিতি তত শক্ত হয়ে থাকে। আর সেই দিক থেকেই দেখতে গেলে রাবণ রাজ্যের বিদেশি ভাঁড়ার একেবারেই ফাঁকা।
প্রকাশ্যে আসা তথ্যানুযায়ী, শ্রীলঙ্কার ( Sri Lanka Economy Crisis ) বিদেশি ভাঁড়ার ৭০ শতাংশ শূন্য। আকাশ ছোঁয়া নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। না খেয়েই জীবন কাটাতে হচ্ছে দেশের একটি বড় অংশের মানুষজনকে। ইতিমধ্যে, পরিস্থিতি এতটাই চরমে পৌঁছে গেছে যে দেশে কাগজ তৈরি করারও পয়সা নেই। যার জেরে দেশ জুড়ে স্থগিতাদেশ পড়েছে সকল প্রকার লেখা পরীক্ষায়। এদিন আবার, ১০ ঘন্টার বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধের নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে দেশ জুড়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জ্বালানীর অভাবের কারণেই এই প্রকার সিধান্তে উপনীত হতে হয়েছে সেই দেশের সরকারকে।
আরও পড়ুন…..শণির প্রবেশ কুম্ভে ৩০ বছর পর, উন্নতি-লাভে ভরপুর এই তিন রাশি
আরও পড়ুন…..প্রথম ম্যাচ হারেই শাস্তির মুখে সিএসকে, রাজমিস্ত্রির কাজ করতে হল ধোনি-জাড্ডুদের
এদিকে, আর্থিক সংকটের মাঝে পড়ে দুর্বিষহ সেখানকার সাধারণ মানুষের জীবন। প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাতে হচ্ছে সেখানকার বহু মানুষকেই। তাঁরা প্রবেশ করছেল ভারত-সহ একাধিক পার্শ্ববর্তী দেশে। ইতিমধ্যে, গোটা দেশ জুড়ে চরমে পৌঁছে গেছে খাদ্য সংকট। রান্নার গ্যাসের আকাশ ছোঁয়া দামের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে এক হাজার বেকারি। যার জেরে সামান্য পাউরুটি কিনতেও প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে সেই দেশের মানুষের। কিন্তু কীভাবেই বা এই পরিস্থিতির শিকার সেই দেশের জনগণ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, কোভিড কালীন পরিস্থিতিতে সেই দেশের সরকারের অব্যবস্থাপনা। এছাড়াও, আয়ের চেয়ে বেশি ঋণ। যার জেরে আরও বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে শ্রীলঙ্কা ( Sri Lanka Economy Crisis ) সরকারকে। ওই দেশের ঋণের পরিমাণ তাঁদের মোট জিডিপি’র ১১৯ শতাংশের সমতুল্য। অর্থাৎ, আয়ের চেয়ে ঋণের পরিমাণ ঢের বেশি।
আরও পড়ুন…..বয়স সংখ্যা মাত্র! ৬০ বছরেও ‘কলকাতার রসগোল্লা’ তাক লাগালেন দেবশ্রী, সঙ্গী বাংলার ক্রাশ মদন মিত্র