“পুষ্কর নাথ পণ্ডিত যেনো আমারই বাবা”- অনুপমের মন্তব্যে তোলপাড় নেটদুনিয়া

অনীশ দে, কলকাতা: সম্প্রতি সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে দ্যা কাশ্মীর ফাইলস(The Kashmir Files)। ছবিটির পরিচালনা করেছেন বিবেক অগ্নিহত্রি। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পলায়নের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ছবির প্রেক্ষাপট। ছবিটির চিত্রনাট্য এবং অভিনয় যে ছবিটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না(The Kashmir Files)। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে এই ছবিটির একটি বিশেষ গুরুত্ব আছে বলে বুঝতে পারছে রাজনৈতিক মহল(The Kashmir Files)।
আরও পড়ুন: ইমরান খান ‘ঝুকেগা নেহি’! পদত্যাগ প্রসঙ্গে সোজা জবাব পাক প্রধানমন্ত্রীর
এই ছবিতে অনুপম খের(Anupam Kher) যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন তার নাম পুষ্কর নাথ পণ্ডিত। যিনি নিজের চোখের সামনে দেখেছেন ছেলেকে মৃত্যু বরণ করে নিতে। যে ছাত্রকে ছোটবেলায় পড়িয়েছেন, সেই ছাত্রই একদিন ওনার ছেলেকে গুলি দিয়ে ঝাঁজরা করে দেবে ত হয়তো তিনি কখনও ভাবতে পারেননি স্বপ্নে। তার পুত্রবধূ ও বড় নাতির মৃত্যু যেনো সারাজীবন তাকে ধাওয়া করে বেরিয়েছে। পরবর্তীকালে ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হন পুষ্কর নাথ। যিনি সারাজীবন অপেক্ষা করেছেন কাশ্মীর(The Kashmir Files) থেকে ৩৭০ ওঠার, তিনিই শেষ সময়ে এর জানতে পারলেন না এই খবর কারন ডিমেনশিয়া।
View this post on Instagram
ছবিতে অনুপম খের এই চরিত্রে সবার মন কেড়েছে। এমনকি অনুপম নিজেও একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত। ছবিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতের ভূমিকাতেই অভিনয় করেছেন তিনি। অবশ্য অনুপম খের জানিয়েছেন এই চরিত্রটি তার বাবার। অর্থাৎ পুষ্কর নাথ পণ্ডিত যেনো তার নিজের বাবা এমনটিই মনে করেন অনুপম(Anupam Kher)। সম্প্রতি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই বিষয়ে আলোকপাত করে অনুপম লেখেন, “বাবার সঙ্গে আমার শেষ ছবি। পুষ্করনাথজি। পৃথিবীর সবচেয়ে নিরীহ মানুষ তিনি। নিজের সরলতা দিয়ে সকলের মন জয় করতে পারতেন। খুবই সাধারণ মানুষ ছিলেন। বাবা কাশ্মীরে ফেরত যেতে চাইতেন আবার। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এ আমার পারফরম্যান্স আমি বাবাকে উৎসর্গ করলাম”।
আরও পড়ুন: মধ্যযুগের কিছু নির্দয়কর শাস্তি! যা জানলে শরীর শিউরে উঠবে আপনারও
নদিমারগের এই ঘটনার জন্য পরিচালক দায়ী করেছেন বিট্টা কারাটে এবং ইয়াসিন মালিককে(The Kashmir Files)। কিন্তু আসলে এর পিছনে আরও এক উগ্রপন্থী জড়িত ছিল, যার নাম জিয়া মুস্তাফা। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পলায়নের সময় কেন্দ্রে ভিপি সিংয়ের সরকার থাকলেও এই ছবিতে(The Kashmir Files) বারংবার রাজিব গান্ধী এবং ফারুক আবদুল্লাহকে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়াও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জওহর লাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির মত একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধুমাত্র দেশবিরোধী কাজকর্মের কেন্দ্র রূপে দেখানো হয়েছে। এই ছবিতে পরিচালক ২ রকম সামাজিক পক্ষ দেখিয়েছেন, যেখানে একদল হচ্ছে জে.এন.ইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা যিনি আজাদী আজাদী করেন এবং কাশ্মীরের সমস্যাকে একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে দেখেন এবং অন্য পক্ষ হচ্ছে পুষ্কর নাথের মত লোকেরা।