“এটিকে হটাও মোহনবাগান বাঁচাও”, সবুজ-মেরুন সমর্থকদের আগুনে স্লোগানে উত্তপ্ত তিলোত্তমা
ক্লাবের নামের সঙ্গে ATK-র সংযুক্তিকরণ নিয়ে বরাবরই ক্ষুব্ধ সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। তার উপর আবার সম্প্রতি এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম ডাইরেক্টর উৎসব পারেখ এক সাক্ষাৎকারে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। তাতেই বাঁধে বিপত্তি।তাঁর দাবি, মোহনবাগান নিজেদের ক্ষমতায় কোনও দিন এএফসি কাপে খেলতে পারেনি। আর এখানেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে সমর্থকেরা। তাদের দাবি দ্রুত ATK র সাথে গাঁটছড়া ভাঙতে হবে মোহনবাগানকে।

এই দাবিকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল হয়ে রয়েছে তিলোত্তমা। গত সপ্তাহের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে চড়তে শুরু উত্তেজনার পারদ। বৃহঃষ্পতিবারের পর রবিবারও মোহনবাগান সমর্থকদের একটি দল ক্লাব তাঁবুর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। #BreakTheMerger হ্যাশট্যাগে বিক্ষোভ এর বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতেই যেন ঘি পড়েছে আগুনে। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় ছড়িয়েছে বিক্ষোভের আঁচ।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন প্রায় শতাধিক মোহনবাগান ক্লাব সদস্য সমর্থিত “Mohunbagan Members & supporters” নামে একটি ফোরাম তৈরি করা হয়। তাদের উদ্যেগেই চলছে মূলত এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। তাদের দাবি ক্লাবের সঙ্গে অন্য ক্লাবের সংযুক্তিকরণের পরিবর্তে সঠিক কোনও ইনভেস্টর নিয়ে আসতে হবে ক্লাব কর্তাদের। ১৩২ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে সঙ্গী করেই মোহনবাগান নিজেক দমে স্বতন্ত্র ক্লাব হিসাবে ফের মাঠে নামবে মোহনবাগন।

রবিবার মোহনবাগান সমর্থকদের ভারতীয় ফুটবলের আইকন এবং মোহনবাগান কিংবদন্তি গোষ্ঠ পালের মূর্তির নীচে জড়ো হয়। “Break the marger” এবং “#RemoveATK” লেখা প্লাকার্ড আর এটিকে বিরোধী স্লোগান ধ্বনিত হতে থাকে চারপাশে। সেই সঙ্গে মোহনবাগান ক্লাব কর্তা এবং এটিকে কর্মকর্তাদের তুলোধনা ধরা করা হয়। উৎসব পারেখের কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। এমনকী বিক্ষোভ থামাতে মাঠে নামতে হয় পুলিশকেও। মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুর দিকে যেতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এমবকী সমর্থকদের অনেকের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ তোলে পুলিশ। প্রতিবাদী সমর্থকদের দাবি তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলনের রাস্তা থেকে কোনোভাবেই পিছু হটবে না তারা। ধারাবাহিক ভাবে চলবে বিক্ষোভ মিছিল।