‘নাড্ডার নির্দেশ’ অমান্যের পরামর্শ কুণালের! তবে কি তৃণমূলে ডাক দিলীপকে

রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক  অস্থিরতা। একদিকে কেন্দ্রীয় বিজেপি’র(BJP) হুমকি, অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যা বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এক প্রকার বেআব্রু। কিছুদিন আগেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার(J.P.Nadda) নির্দেশে সংযত হওয়ার চিঠি গেছে দিলীপের(Dilip Ghosh) দুয়ারে। আর তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে এক অন্যরকম রাজনৈতিক অস্থিরতা। দিলীপ ঘোষের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন অনেকে। 

তবে এই রাজনৈতিক  অস্থিরতাকে আর এক ধাপ উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে তৃণমূল। এদিনের তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দিলীপের সঙ্গে রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকলেও দলের পুরানো লোক বলে গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক হিসাবে তাকেই মনে করি। তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া লোকজনের হাতে বিজেপির দায়িত্ব চলে যাক এটা কাম্য নয়।”     

dilip and kunal

উল্লেখ্য, কুণালের এই মন্তব্যকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে  রাজনৈতিক মহলে।  অনেকের মতে, দিলীপকে নাড্ডার নির্দেশ এক প্রকার ভাবে অমান্য করতে বলে নিজেদের দল ভারী করতে চায় তৃণমূল।  দিলীপ ঘোষকে নিজেদের দলেই টানতে চায় তৃণমূল। অবশ্য কুণালের এই মন্তব্যকে বিশেষভাবে আমল দিতে চাননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার ইকোপার্কে কুণালের এই বার্তা জবাব দিয়ে তিনি বলেন, “কুণাল ঘোষ আমাকে নিয়ে চিন্তিত থাকেন। আমি কুণাল ঘোষকে বলব, আপনি নিজের দল নিয়ে চিন্তা করুন। ওতে আপনার ভালো হবে। দলেরও ভালো হবে।” এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপবাবু। এদিন তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনের বাইরে কথা বলেন না তিনি। আর তাঁর দল যদি তাঁকে বিড়ম্বনায় পড়ে থাকেন, তা হলে তা দেখার জন্য দলে লোক আছে। তারা দায়িত্ব পালন করবেন। 

প্রসঙ্গত, ‘সংবাদমাধ্যমের সামনে সংযত’ থাকার নির্দেশ পড়েছে দিলীপের দুয়ারে। সরাসরি কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠিয়ে দলের সেকালের লোককে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বাংলার এক নামজাদা সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় নানা অযাচিত ও অসংযত কথা বার্তা বলে ফেলেন তিনি। যার জেরে মঙ্গলবার এই  চিঠির আক্রমণ। ওয়াকিবহাল মহলের মতামত, বড্ড কড়া ভাষায় নিজের উত্তর পেশ করেন তিনি। যা দলকে অনেক দিক থেকেই বিপদে ফেলতে সক্ষম।




Leave a Reply

Back to top button