“KK-কে চক্রান্ত করে মেরেছে তৃণমূল, দোষ ঢাকতেই দিয়েছে গান স্যালুট!”, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

KK-এর মৃত্যুতে বিষণ্ণ বলিপাড়ায়(Bollywood)। শোকের কালো মেঘ যেন ঢেকে দিয়েছে কলাকুশলীমহলকে। এই পরিস্থিতি বঙ্গ রাজনীতি ও বিনোদন মহলে পড়েছে শোরগোল। একদিকে রুপঙ্কের ‘কে kk?’-এই কটুক্তিতে সরগরম টলিপাড়া। অন্যদিকে, কে কে-এর মৃত্যুতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। “বিখ্যাত গায়ক KK-কে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে।” বিস্ফোরক বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। প্রতিদিনের মতো নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ হেন মন্তব্য করে বসেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের কে কে-এর মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা হত্যা কে কে-কে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে। আর অপরাধ বোধ ঢাকতেই রাজ্য সরকার তরফে গান স্যালুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
নিজের বিস্ফোরক মন্তব্যকে যুক্তির ঘেরাটোপে আনতে ও মন্তব্যের মধ্যে ভারিক্কি তুলে ধরেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের(Amit Shah) কথা। দিলীপ বলেন, “অমিত শাহ বলেছিলেন, বাঙ্গাল মে যাও গে তো মার যাওগে, আর সেটাই হল। আজ বাংলায় এসে লোকটা বেঘোরে মারা গেল।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “ওটা কলেজের প্রোগ্রাম ছিল না। ছিল তৃণমূল পার্টির প্রোগ্রাম। ওরা লোক জড়ো করেছে, নেতারা অর্গানাইজ করেছে। জোর করে গরমের মধ্যে গান গাওয়া করিয়েছে। ওঁ পারছিল না, চলে যেতে চাইছিল কিন্তু যেতে দেওয়া হয়নি। চক্রান্ত করে মারা হয়েছে।”
দিলীপের কথায়, ‘দোষ ঢাকতে রাজ্য সরকার তরফে গান স্যালুটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’ উল্লেখ্য, এদিন রবীন্দ্রসদনে গান স্যালুটের সঙ্গে গায়কের শেষযাত্রার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে কফিনবন্দী অবস্থায় ফুলের সাজে রাখা হয় গায়কের দেহ। তারপর বিকাল পাঁচটা নাগাদ একটি বিশেষ বিমানে তাঁর নিথর দেহ মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখানেই হবে শেষকৃত্য। এখানেই ইতি না দিয়ে এক নতুন প্রশ্নকে সামনে টেনে ধরেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “ওনাকে সোজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি কেন? ওনার সঙ্গে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা হাসপাতালে না গিয়ে আগে হোটেলে যান। একটা বদ্ধ জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা চলেছে উল্লাস। শরীর খারাপ হলেও নামতে দেওয়া হয়নি। এটা অমানবিক। এই ঘটনার ভিত্তিতে তদন্ত চাই। ”
উল্লেখ্য, দিলীপের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দিলীপ ঘোষকে কয়েকদিন পাগলা গারদে রাখা উচিত। যেখানে শিল্পির ম্যানেজার কিছু বলছেন না, সেখানে ওঁ কীভাবে এসব বলতে পারেন? আমরা তো জানতে পারলাম কে কে দু’দিন ধরে অসুস্থ ছিল। দিলীপ ঘোষ দলের মধ্যে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে এসব করছেন।”