Murder at Basnti : ঘর থেকে বেরোতেই বাবার সামনে মেয়ের ছিন্ন মস্তিুস্ক! তারপর…

সাতসকালে উদ্ধার হল এক মহিলার মৃতদেহ। প্রথমে মহিলার ছিন্ন মস্তিস্ক ধড় দেখতে পেলেও খানিক দূরে এগোতেই মিলে যায় মাথাও। গোটা ঘটনায় রীতিমতো শিউরে এলাকা বাসিন্দারা। ভয়ের এক সংক্রমণ যেন ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম জুড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানা এলাকার উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়ভাঙি এলাকায়। এদিন স্থানীয় অটো স্ট্যান্ডের পাশের মাঠে মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম তমিনা সরদার(২৮)। মাস কয়েক আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁর।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বাসন্তী থানার পুলিশ। বাহিনী দেখে ভিড় জমান গ্রামবাসীরাও। দেখা যায়, যে জমিতে মহিলার মৃতদেহ মেলে সেখান থেকে কিছু দূরে গিয়ে পাওয়া যায় বিচ্ছিন্ন মাথাটি। ফলে ধারাল কোনও শস্ত্র দিয়েই যে নৃশংস খুন করা হয়েছে, তা বুঝতে বিশেষ বেগ পেতে হয় না পুলিশকে। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বাসন্তী থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তের জন্য সেটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ময়নাতদন্তের উদ্দেশে। কী কারণে এই খুন সেই নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত মাস আগে এলাকার বাসিন্দা জাকির মোল্লার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় তমিনার। আর সেই দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই অশান্তিু শুরু করে জাকিরের প্রথম স্ত্রী হামিদা। তাই বাধ্য হয়েই তমিনা বাপের বাড়িতে থাকতেন ও জরির কাজ করতেন বলেই দাবি পরিবারের। মৃতার দাদার অভিযোগ, যেখানে তমিনা জরির কাজ করতেন, সেখান থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাঠের মাঝখানে এনে মাথা কেটে খুন করা হয় ও মাথাটি জলে ফেলে দেওয়া হয়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তেজিত হয়ে পড়েছে তমিনার পরিবার। এখনও পর্যন্ত তমিনার শ্বশুড়বাড়ির কাউকে আটক করা হয়নি। মৃতার পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে খুনের পিছনে তাঁর স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকেরই হাত আছে।