অজানা জ্বরেই কাঁপছে উত্তরবঙ্গ, মৃত্যুর কোলে একের পর এক শিশু! আক্রান্ত পাঁচ শতাধিক
ফের অজানা জ্বরের( amysterious fever) প্রকোপ উত্তরবঙ্গে(north bengal)। আক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক শিশু(children)। কিছুদিন আগেই ৮ মাসের এর এক শিশুর অজানা জ্বরে মৃত্যুর খবর এসেছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও তিনজন শিশু। এখনো পর্যন্ত গুরুত্বর অসুস্থ ৫০-এর অধিক শিশু। সরকারি নথি অনুযায়ী এই অজানা জ্বরে মোট আক্রান্ত ৫০০-র বেশি শিশু। এই অজানা জ্বরের জেরে প্রকাশ পাচ্ছে উত্তরবঙ্গে শিশু চিকিৎসার পরিকাঠামোর হতশ্রী চেহারা।
করোনার তৃতীয় ঢেউতে শিশু আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি, তা আগেই জানিয়েছিল চিকিৎসকমহল। আইসিইউ, পিকু, নিকু সহ পেডিয়াট্রিক এক্সপার্টদের নিয়ে তৈরি হয়েছে টিম। কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই অজানা জ্বরের মোকাবিলা করতে গিয়ে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি ও কোচবিহারের এই সরকারি ব্যবস্থা বেআব্রু হয়ে পড়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ১২ থেকে ১৪ দিন ধরে বেড়ে চলেছে এই জ্বরের প্রকোপ। উত্তরবঙ্গের চিকিৎসকদের অভিযোগ, সঠিকভাবে সেই তথ্য জানানো হয়নি স্বাস্থ্যভবনকে। অভিযোগ উঠছে তথ্য ধামা চাপা দেওয়ার। জ্বর, পেটে যন্ত্রণা সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বহু শিশু। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে এই জ্বর। অথচ ১০-১২ দিন কেটে যাওয়ার পরও নমুনা পরীক্ষা করে সঠিক কারণ জানা গেল না। কেন জ্বরের কারণ জানতে এত সময় লাগছে? অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।
মূলত উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে এই অজানা জ্বর ভীষণ ভাবে ছড়িয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভিড় করছে শিশুরা। কোথাও প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, তো কোথাও ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে, আর কোথাও ভর্তির জন্য খালি নেই বেড। উত্তরবঙ্গের ছোটবড় সমস্ত হাসপাতাল জুড়েই লেগেছে শিশুদের ভিড়।
উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওএসডি অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায় জানিয়েছেন, “এই জ্বর জাপানি এনসেফালাইটিস নয়।” এবার প্রশ্ন উঠছে তাহলে এই জ্বরের কারণ কী? করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের রক্ষার্থে সবরকম ব্যবস্থায় প্রস্তুত সরকার, এমনটাই জানানো হয়েছিল। তবে এই পরিস্থিতিতে কেনই বা বৃদ্ধি পাচ্ছে অজানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা? কেন এতটা বেহাল দশা সরকারি চিকিৎসা পরিকাঠামোর?