খাবার পয়সা নেই পড়াশোনা তো দূর! চিন্তায় আকুল উচ্চ মাধ্যমিকে নবম টিনার দিনমজুর বাবা

 

নুন আনতে পান্তা ফুরায় এরকম অবস্থা পরিবারের। আর্থিক টানাপোড়েন নিত্য সঙ্গী এক কথায়। বাবা পেশায় দিনমজুর বলা চলে। কিন্তু এসব বাধা কে অতিক্রম করেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের টিনা থোকদারকে। উদ্যম ইচ্ছে শক্তি ও জেদের কাছে হার মেনেছে সব বাঁধা। টিনার আজ উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছে। রাজ্যের মেধা তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে সে । ৪৯০ নাম্বার পেয়েছে সে। তবে এই ফলের পিছনে যে অনেক বই সে পেয়েছে বা সহায়তা পেয়েছে সেরকম কিছুই নয়। কারণ তার বাবা মার সামর্থ্য অবধি ছিলনা বই পত্র কিনে দেওয়ার।

img 20220610 221346

টিনার এই সাফল্যে সবাই আনন্দিত হলেও তার দিনমজুর বাবার মাথায় চিন্তার ভাঁজ। মেয়ের চিন্তায় সংবামাধ্যমগুলোর সামনে কেঁদে ফেলেছেন তিনি। বলেছেন এতদিন সে স্কলারশিপের টাকায় লেখাপড়া চালাচ্ছিল কিন্তু এখন কি হবে। কি করে জোগাড় হবে টিনার সমস্ত খরচের টাকা পয়সা।

উল্লেখ্য মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ফতেপুরের মতো প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি টিনা থোকদারের। তাঁর বাবা নাড়ুগোপাল থোকদার পেশায় দিনমজুর । পানের বরজে কাজ করেন আর সংসার চালান । সংসারে দুই ছেলেমেয়ে। ছোট ছেলে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। কোনও মতে একটা বাড়ি করেছেন ইট গেঁথে। যদিও প্লাস্টার করার সামর্থ্য তার নেই। এ রকম বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা চালিয়েছেন টিনা। রোজ তিন কিলোমিলার হেঁটে স্কুলে যেতেন টিনা কারণ তাঁর গ্রামে কোনও স্কুল নেই। সবুজ সাথীর সাইকেল পেয়েছিলেন, কিন্ত সেই সাইকেল নিয়ে দূরে দূরে কাজ করতে যেতেন তাঁর বাবা। পড়াশোনার জন্য টিনার ভরসা ছিল শুধুই রাজ্য সরকারের দেওয়া বিভিন্ন স্কলারশিপের টাকা।  তাঁর ইচ্ছা ভবিষ্যতে ইংলিস অনার্স নিয়ে পড়ে বিমানসেবিকা হবে।কিন্তু কী করে মেয়ের উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাবেন, তা ভেবেই কুল কিনারা পাচ্ছেন না টিনার বাবা।

 

 




Leave a Reply

Back to top button