“পরিবার বানিয়েছে বেশ্যা, কৌশিক রায়ও ব্যবহার করেছে” অভিনেত্রীর বিস্ফোরক সুইসাইড নোট দেখুন

জয়িতা চৌধুরি, কলকাতাঃ আবার শহরে উঠতি মডেলের আত্মহত্যা। পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষা নিয়োগীর পর এবার অভিনেত্রী দেবলীনা দে ( Deblina Dey )। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ফেসবুকে সুইসাইড নোটের ছবি পোস্ট করে আত্মহননের চেষ্টা করেন দেবলীনা। গত রাতে ঘুমের অসুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। ঠিক কি লিখেছিলেন তিনি? যা কিনা আত্মহত্যা করতে যাওয়ার আগে ফেসবুকের পাতা থেকে মুছে দিয়েছিলেন উঠতি মডেল-অভিনেত্রী।
সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন তার মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাই নাকি তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। তিনি আরো লিখেছেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোকা এবং অবাস্তববাদী মানুষ…’‘আমার ভাই মাদকাসক্ত। গাঁজা, চরস, পাতা, মদ কী না খায়। টাকা দেয় মা। কোনও কাজ করে না। উল্টে বাড়ি ভাঙচুর করে । হাতের কাছে ছুরি, কাঁচি যা পায় তা দিয়ে মারতে আসে।”
অভিনেত্রী আরো জানান তার ভাই তার পেশাকে ‘বেশ্যাবৃত্তি’ বলে উল্যেখ করে অশ্লীল কথা বলে। এরপরই সে তার নোটে শুভজিত রক্ষিতের কথা উল্যেখ করে বলেছেন মাস গেলে তিনিই নাকি টাকা পাঠান দেবলীনাকে। তা নিয়েই তিনি বেছে আছেন। পরিস্থিতি তাঁকে অর্থ নিতে বাধ্য করেছে। শেষে অভিনেত্রী উল্ল্যেখ করেছেন কৌশিক রায় নামের এক ব্যক্তির। মডেলের দাবি, কৌশিক তাঁকে ব্যবহার করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছেন। পরিবার ও প্রেম থেকে প্রাপ্ত আঘাতই নাকি অভিনেত্রীর এই পরিণতির কারণ। তবে এই মুহূর্তে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী রয়েছেন আইসিইউতে।
জানা যাচ্ছে, দেবলীনা দে (২৭) কালনার বাসিন্দা। বিগত দেড় বছর ধরে মুকুন্দপুর এলাকার উত্তলিকা আবাসনে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকছিলেন। সিরিয়ালেও কিছু কিছু কাজ পেতেন। তবে উপার্জন ভালো না হওয়ার পরিবারের সঙ্গে এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই মনোমালিন্য চলত বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরাই । ২২ জুন দেবলীনার আঠাশতম জন্মদিনে ঘটনা চরমে ওঠে। কালনায় নিজের পৈতৃক বাড়িতে সন্ধে বেলা পার্টির পর বাবার কাছে নতুন একটি ফ্যাশন বুটিক খোলার জন্য লক্ষাধিক টাকা চাইতেই বেঁকে বসেন বাড়ির সকল সদস্য। ভাইয়ের সঙ্গে বচসা এমনকি হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন দেবলীনা।
পরের দিন বিকেলে একটি গাড়ি ভাড়া করে কলকাতায় আসেন দেবলীনা। মা সঙ্গে আসতে চাইলে তাঁকে আসতে বারন করেন তিনি। গতকাল নরেন্দ্রপুরে একটি বাগান বাড়িতে একটি মিউজিক ভিডিয়োর শুট ছিল তাঁর। সেখানে সকালে গিয়ে দুপুরের পর কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি। বন্ধ করে দেন নিজের মোবাইল। তারপর রাতে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খান। ভোর রাতে তাকে সঙ্কটজনক অবস্থায়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।