Kochu Patay Chingri Mach: আর নয় পটল-বেগুন-আলু! জিভের স্বাদ বদলাতে আজই বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন কচু পাতায় চিংড়ি মাছ

“অকালে খেয়েছ কচু, মনে রেখ কিছু কিছু”, কথার মানেটা গভীর হলেও বাঙালির কচু খাওয়ার স্বভাবটা কিন্তু আজও বর্তমান। মানে একালে বাঙালি সাধারণভাবেই এই কচুর স্বাদ নেওয়া ছেড়ে দিলেও, সেকালের বাঙালির মধ্যে আজও তা বর্তমান। লোকে বলে এই স্বাদ নাকি অপূর্ব। কিন্তু রান্নার ধরণ হতে হবে একেবারে সঠিক। যত ভাল রান্না, তত ভালই স্বাদ হয় কচুর। 

কিন্তু শুধুই কি সেকেলে বাঙালিদের হয়েই থেকে যাবে এই পদ? অবশ্যই না। দৈনন্দিন খাবারের বাইরে বেরিয়ে এবার সময় অন্য কিছুর স্বাদ নেওয়ার। কচু নামটা কানে শুনতে একটু অন্যরকম লাগলেও স্বাদে একেবারে অনন্য। আর এই কচুর স্বাদকেই আরও মজাদার করে তুলবে চিংড়ি। তাই এবার জিভে একেবারে নতুনত্বের স্বাদ নিতে আজই বানিয়ে ফেলুন কচুপাতায় চিংড়ি মাছ ( Kochu Patay Chingri Mach )। 

kochu patay chingri

উল্লেখ্য, কচু পাতায় তৈরির কারণেই যারা একেবারে কচু দেখলেই নাক সিটকান তারাও এই পদের স্বাদ নিতে পারবেন সহজে। এই পদ রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি হল, ৩০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ, ১/২ নারকেল কোরা, ১ টেবিল চামচ সর্ষে বাটা, ১ টেবিল চামচ পোস্তবাটা, ১ টেবিল চামচ সর্ষের তেল, ৪ টেবিল চামচ টক দই, স্বাদ মতো কাঁচা লঙ্কা চেরা, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং স্বাদ মতো নুন।

রান্না উপকরণ জোগাড় করেই শুরু হল হাতা-খুন্তি নাড়া। এই পদটি রান্নার ধাপগুলি হল, 

kochu patay chingri

  • চিংড়ি মাছটিকে প্রথমে ভাল করে ধুয়ে তাতে নুন-হলুদ ও সর্ষে সহ নারকেল কোরা মাখিয়ে নিতে হবে। 
  • মাছে সমস্ত উপকরণ মাখানো হয়ে গেলে সেটিকে  ১৫ মিনিট মতো ম্যারিনেট করে রেখে দিতে হবে। 
  • তারপর প্যানে কচু পাতা সাজিয়ে রেখে ম্যারিনেট করা মাছগুলিকে সেই পাতায় রেখে দিতে হবে। কচু পাতায় করায় এই রান্নাটির মধ্যেও হালকা কচুর স্বাদ মিলবে। এরপর মাছটিকে ১৫ মিনিট আরেকটি পাতা দিয়ে উপর থেকে ঢাকা রেখে দিতে হবে। আর তাতেই তৈরি হয়ে যাবে কচু পাতায় চিংড়ি মাছ ( Kochu Patay Chingri Mach )।




Back to top button