India Book of Records Bankura: তবলা বাজিয়ে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম, চেনেন কি বাঁকুড়ার এই ছোট্ট জাকির হোসেনকে?

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: তবলার বোলে মুক্ত গোটা ভারতবর্ষ। হাতে যেনও জাদু আছে তার। গুছিয়ে কথা বলতে না পারলেও তবলাই যেন তার হয়ে কথা বলে। তবলা বাজিয়েই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে (India Book of Records) নামও উঠলো পশ্চিমবঙ্গের একটি ছেলের। ছেলেটির বয়স শুনলে অবাক হবেন। এখন সে মাত্র চার বছরের। ঠিক করে গুছিয়ে কথাও শেখেনি এখনও। কিন্তু, মাত্র এইটুকু বয়সেই হাতের জাদুতে অসাধ্য সাধন করে ফেলেছে সে।
এই বয়সেই এরকম প্রতিভা দেখে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদেরও একে বারে অবাক। নাম দেবজিৎ ঘোষের (Debojit Ghosh) বয়স মাত্র ৪ বছর। ঠিকানা বাঁকুড়ার পাত্রশায়ারের নান্দুর গ্রাম। ছোট থেকেই নাকি বাজনার প্রতি তার এক অন্যরকম আকর্ষণ। পরিবার সূত্র জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই হাতের কাছে যা পেত সেটাই নাকি তবলার মত করে বাজাতে শুরু করত ছোট্ট দেবজিৎ। আর এই বাজানো দেখেই ছেলের জন্মদিনে তবলা কিনে দেন বিশ্বজিৎবাবু। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থাকে তার প্রতিভা।
এরপর তবলার আরও ভাল তালিম নেওয়ার জন্য শিক্ষক হারাধন মণ্ডলের কাছে দেবজিতকে ভর্তি করান তার বাবা মা। দেখতে দেখতে ধীরে ধীরে তবলাতে পারদর্শী হয়ে ওঠে ছোট্ট দেবজিৎ। চাপা থাকেনি তার প্রতিভা। আর এই প্রতিভার কারণেই মাত্র চার বছর বয়সেই ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে (India Book of Records) সে জায়গা করে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের তরফে সার্টিফিকেট মেডেল এবং বই এসে পৌঁছে তার বাড়িতে।
এই ঘটনার পরেই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি গ্রামের সাধারণ মানুষদেরও গর্বে বুক ভোরে যাচ্ছে। তবে শুধু বাঁকুড়া নয় গর্বিত গোটা রাজ্য। ছেলের এই সাফল্যে আবেগে ভাসছেন দেবজিতের (India Book of Records) বাবা বিশ্বজিৎ। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান,’ছেলের কম বয়স থেকেই এই প্রতিভা আমাদের নজরে আসে এবং ছেলেকে জন্মদিনে তবলা কিনে দিই। পরে একজন শিক্ষকের কাছে ছেলে তবলা শিখতে থাকে। মাত্র এইটুকু বয়সে ছেলের এই কৃতিত্ব আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের। আগামী দিনে ছেলে যাতে আরও বড় হয়ে উঠতে পারে তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব আমি।’