Bardhaman News: এ যেন টাকার নদী! ড্রেন দিয়ে ভেসে আছে ৫০০ টাকার নোট, যাবেন নাকি সংগ্রহ করতে?

অহেলিকা দও, কলকাতা : “বানের জলে ভেসে এসেছে”, এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটা প্রবাদ বাক্য। এই শব্দবন্ধের গুরুত্বহীন কোনও কিছু বোঝাতে ব্যবহার করেন মানুষেরা। তবে এই প্রবাদ বাক্যের সমাহার ঘটেছে কাঁকসার কালিনগর এলাকায়। যদিও তা বানের জলে নয়, ভেসে এসেছে ড্রেনের জলে। আর যা ভেসে এসেছে তা মোটেই গুরুত্বহীন নয়। সেই জিনিস ছাড়া একটা দিনও চলা কার্যত অসম্ভব।

সংগ্রহকারীদের মতামত, ড্রেনের জলে ভেসে এসেছে স্বয়ং মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। গত সন্ধ্যার দিকে দূর্গাপুরের কাঁকসার কালিনগর এলাকায় ড্রেনের জলে ভেসে আসতে শুরু করে ৫০০ টাকার নোট। টাকা সংগ্রহের জন্য এলাকাবাসীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ড্রেনে নেমে টাকা সংগ্রহ করেন এলাকাবাসী। কিন্তু এত টাকা এল কোথা থেকে?

bardhaman

ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, গত সন্ধ্যায় কাকসার কালিনগর এলাকার একটি ড্রেনে বান্ডিল বান্ডিল ৫০০ টাকার নোট ভেসে আসতে শুরু করে। বৃষ্টি নামার পর স্থানীয় দু-একজন দেখতে পায় ড্রেনে একের পর এক ৫০০ টাকার নোট ভেসে আসছে। কাঁকসার আরা মোড় থেকে কালিনগর হয়ে ওই নিকাশি নালাটি চলে গিয়েছে। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার জন্যই ওই ড্রেনটি রয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পরেই ওই নিকাশি নালা দিয়ে বহুল পরিমাণ টাকা ভেসে আসতে শুরু করে। কিন্তু কার টাকা? কিসের টাকা?

কীভাবে এত টাকা ভেসে এল, কোথা থেকেই বা এল তা কেউই বুঝতে পারছে না। ঘটনার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে হাজির হন পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে সমস্ত টাকা উধাও। স্থানীয় মানুষ প্রায় সব টাকায় পেকেটে ঢুকিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দিয়েছে। নোট বন্দির পরবর্তী সময়ে এইভাবে বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। তবে এই মূহুর্তে তো এমন কোন ব্যাপার নেই, তবে কোথা থেকে এল এত পরিমাণ অর্থ?

bardhaman

কোন ব্যক্তি তাদের হিসাব বহির্ভূত টাকা এভাবে ড্রেনের জলে ফেলে দিয়েছেন কিনা, তা নিয়েও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অন্যদিকে বেশ কিছু মানুষজন বলছেন, এ সময় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তৎপর রয়েছে। কয়লা কাণ্ডের তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী, এমনকি ইসিএল কর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই ঘটনায় যুক্ত থাকা কোন ব্যক্তি এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন বলে অনুমান করছেন অনেকে। তবে পুলিশ এই বিষয়ের তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন।




Back to top button