Condom: দুর্গাপুরে শেষমেশ কন্ডোমের চাহিদা! এক দিনেই দোকান থেকে ফাঁকা হচ্ছে হাজারও প্যাকেট

মন্টি শীল, কলকাতা: সাধারণত মানুষের নিত্য প্রয়োজনের জন্য বিভিন্ন রকমের জিনিসের চাহিদা লেগেই থাকে। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের এই ছোট শহরে আচমকাই কোনও একটি জিনিসের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেল। আর তা এমন পর্যায়ে বৃদ্ধি পেল যে সেটা থামার নাম করছে না। কিন্তু হঠাৎ করে কী এমন ঘটল যার দরুন সেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের এত চাহিদা। তথ্য সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প নগরী দুর্গাপুরে ( Durgapur )। সেখানে আচমকাই কন্ডোমের ( Condom ) চাহিদা উঠল তুঙ্গে।
তথ্য অনুযায়ী, আগে প্রতি দোকান পিছু তিন থেকে চার প্যাকেট কন্ডোম ( Condom ) বিক্রি করতেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিগত কিছু মাস ধরে সেই সংখ্যাটা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা ওষুধের দোকান থেকে নিমেষের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ প্যাকেট কন্ডোম। এমনকী এই কন্ডোমের জন্য শিল্প নগরী দুর্গাপুরের ( Durgapur ) বিভিন্ন দোকানের সামনে দেখা গিয়েছে লম্বা লাইন। আর এই চিত্র ধরা পড়েছে দূর্গাপুরের সিটি সেন্টার, বেনাচিতি, মুচিপাড়া সহ একাধিক শহরের একাধিক জায়গায়।
এমনকী, নামীদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা কলেজ, হোস্টেল, ক্যান্টিন সর্বত্র ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেল এই কন্ডোমের। কিন্তু এমন দুর্বিসহ পরিস্থিতি গড়ে ওঠার প্রধান কারণ কী? জানা গিয়েছে, শিল্প নগরী দূর্গাপুরের তরুণ সমাজের একটি অংশ কন্ডোম ব্যবহার করে নেশায় মেতে উঠেছেন। নেশা করতেই কন্ডোম এর জন্য লম্বা লাইনেও দাঁড়াচ্ছেন শহরের তরুণ সমাজ থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া সকলেই। কিন্তু কন্ডোমের থেকে নেশা! শুনে অবাক হলেন। কিন্তু শহরের পরিস্থিতি এটাই বলছে।
জানা গিয়েছে, কন্ডোমকে কিছুক্ষণের জন্য উষ্ণ গরম জলে ভিজিয়ে রাখলে তাঁর মধ্যে উপস্থিত অ্যারোমেটিক কম্পাউন্ড থেকে অ্যালকোহল নির্গত হয়। সেই নির্গত অ্যালকোহল যুক্ত জল পান করলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের নেশা হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের মতে, ‘মাঝারি থেকে কম বয়সী সকলের মধ্যেই কন্ডোম কেনার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। যার দরুন শহরে এর বিক্রি কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।’ যদিও নেশা করার এই অভিনব পদ্ধতি এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে অজানা বস্তু দিয়ে নেশা করার প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে নেশা করার এই অভিনব উপকরণ দেখে রীতিমতো হতবাক গোটা রাজ্যবাসী তা বলাই যায়।