Mango Man : লাল-গোলাপি, লম্বা-বেঁটে! ম্যাঙ্গো ম্যানের সেলেব আম দেখে চক্ষু চড়ক গাছ নেটিজেনদের

নেহা চক্রবর্ত্তী, কলকাতা: উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজধানী লখনউয়ের মালিহাবাদের এক নার্সারিতে রয়েছে এমন একটি আম গাছ যা প্রায় ১৩৪ বছরের পুরনো। এত পুরোনো আম গাছ শুধু এখানেই সমাপ্তি নয় রয়েছে এর কিছু বিশেষ বিশেষত্ব যা শুনলে অবাক হবেন প্রত্যেকেই। আসুন সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক এই গাছের বিবরণ।
উল্লেখ্য,এই আম গাছটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন ৮০ বছর বয়সী কলিমুল্লাহ খান (Kaleem Ullah Khan)। আম গাছটি দেখতে অন্যান্য আম গাছের মত হলেও এর একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। আম গাছটির বয়স ১৩৪ বছরেরও বেশি এছাড়া এই গাছে ধরে ৩০০ প্রজাতির আম। যা সত্যিই চমকপ্রদ একটি ঘটনা। গাছটিকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করে আসছেন কলিমুল্লাহ খান।তিনি প্রতিদিন রক্ষণাবেক্ষণ করতে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে আম গাছটির কাছে যান। বর্তমানে স্থানীয়েরা তার নাম রেখেছেন ম্যাংগো ম্যান (Mango Man)।
বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য এই আম গাছে ধরে একাধিক আকৃতির আম। কোনটা হয় গোল, কোনওটা লম্বা। কোনওটার রং হলুদ, কোনওটার বা লাল, গোলাপি। এদিকে রয়েছে বেগুনি, কমলা, সবুজ রঙের আমও। এছাড়াও এই গেছে ফলে হিমসাগর থেকে শুরু করে ল্যাংড়া, আলফোনসোর মত আমও। অপরিচিত আমার নতুন করে নামাকরণও করেছেন কলিমুল্লাহ খান। কোন আমের নাম শচিন তেণ্ডুলকর, কোনওটা আবার ঐশ্বর্য রায়। ম্যাংগো ম্যান জানান ১৯৯৪ সালে ঐশ্বর্য রাই মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পর তাঁর নামানুসারে একটি আমের নাম রেখেছিলেন ‘ঐশ্বর্য’। প্রতিটি আমের স্বাদ, গন্ধ আলাদা আলাদা বলে দাবি করেছেন তিনি। এই আম গাছের অপর নাম ‘জাদুকরি’ গাছও।
এই গাছটিতে ১৯৮৭ সাল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফলন হওয়া শুরু হয়েছে। ম্যাংগো ম্যান জানান আজ অবধি এটা তাঁর সেরা সৃষ্টি । এই গাছের এক একটি আমের ওজন ১ কিলোগ্রামের বেশি। আমটির বাইরের ত্বকে লাল রঙের আভা রয়েছে। খেতেও খুব মিষ্টি।