Arpita Mukherjee: পুকুরে ছিপ ফেলতেন অর্পিতা! অনুষ্ঠানে পার্থর সঙ্গে বারুইপুরে ‘বিশ্রামে’ আসতেন অভিনেত্রী

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ বছর কয়েক আগের কথা। বারুইপুরের একটি স্কুলে ঘনিষ্ঠা অর্পিতা মুখার্জি ( Arpita Mukherjee ) নিয়ে খিচুরি খেতে এসেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমান শিল্পমন্ত্রী) পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee )। এই বারুইপুরেই আছে মন্ত্রীর এক বিশাল বাগান বাড়ি। যে বাড়ি আজ চর্চার মধ্যমণি হয়ে উঠে এসেছে। বারুইপুরের বেগমপুর পঞ্চায়েতের কাটাখাল-উত্তরভার বাইপাস ধরে কিছুটা এগোলেই দেখা মেলে তৃণমূ্লের এই হেভিওয়েট নেতার সুবিশাল, আলিশান বাড়ির।
বাগান বাড়িটির নাম বিশ্রাম। এক প্রথম সারির বাংলা সংবাদপত্রের সূত্র অনুসারে, এই বাগান বাড়িতেই বিশ্রাম নিতে আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখার্জি। আর তার থেকেই মাথাচারা দিয়ে উঠছে যে প্রশ্নের তা হল বাগান বাড়িটি আসলে কার নামে? স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা বাগান বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ করেন। সূত্রের খবর, বাগান বাড়িটির সামনেই মাঝেসাঝে এসে থামত পার্থবাবুর গাড়ি। পার্থবাবু ছাড়াও একাধিক লোকের গাড়ি আসত সেই বাড়িটিতে।
ছোটখাটো অনুষ্ঠানে ছুটিতে এই বাড়িতেই আসতেন মন্ত্রীমশাই। সঙ্গী থাকতেন অর্পিতা। বাগান বাড়িটির পিছনে ছিল একটি বড় পুকুর। স্থানীয়দের দাবি মাঝেসাঝে সেখানেও নাকি ছেপ ফেলতেন মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠা। বিকেল বা রাতের দিকেই বেশি বেরাতে আসতেন তাঁরা। কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে আবার ফিরেও জেতেন যে যার মতো।
একটি বিশেষ সূত্র মারফৎ আরও জানা যাচ্ছে তৃণমূলের অন্য অনেক নেতা- মণ্ডলীরও যাতায়াত ছিল সেই বাড়িতে। যখন পার্থবাবু ও অর্পিতা একান্তে সময় কাটাতে আসতেন তখন তৃণমূলের কিছু লোক আশেপাশে ঘুরে বেড়াতেন। এছারাও বিশ্রাম বাগান বাড়িটির আশেপাশেই নাকি অর্পিতার মামার বাড়ি। তবে গ্রামে এলে অর্পিতা সেখানে থাকেন না। তিনি ওঠেন পার্থবাবুর সাথে বাগান বাড়িতে। কিন্ত কেন রাজ্যের মন্ত্রী তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে ঘনঘন সেই বাড়িতে যাতায়াত করতেন সেই নিয়েও জলঘোলা অনেক মানুষই।
দুজনের মধ্যেকার সম্পর্ককে ঘিরে এই মুহূর্তে শুধু রহস্যই রহস্য। এই মুহূর্তে, পার্থ বাবু বা তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা দুজনেই এই মুহূর্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা ইডির হেফাজতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ অর্পিতার উপর। তাঁদের মতে, কারণে অকারণে মানুষদের ধমকানো নাকি অর্পিতার স্বভাব ছিল। তিনি গ্রামে এলেই গ্রামবাসীরা তটস্থ হয়ে থাকতেন। তাই তাঁর গ্রেফতারিতে বেশ খুশি গ্রামবাসীরা।