Viral News : সমাজের কথায় বুড়ো আঙুল! গোঁফে তেল দিতেই ব্যস্ত কেরালার শায়জা

নেহা চক্রবর্ত্তী, কলকাতা : সমাজে কথিত আছে গোঁফ-দাড়ি শুধু ছেলেদেরই হয়। যদিও এটি সম্পূর্ণভাবেই হরমোনাল প্রক্রিয়া। যার ফলে অনেক মেয়েরই গোঁফ-দাড়ি হয় মুখমণ্ডলে। তাঁরা সেটা পার্লারে গিয়ে ওয়াক্সিং করায়। কারণ কোনও মেয়েই চায়না তাঁদের গোঁফ-দাড়ি থাকুক। কিন্তু সবকিছুর যেমন ব্যতিক্রম উদাহরণ থাকে এক্ষেত্রেও রয়েছে কেরালার শায়জা( Shaiza )। কীভাবে হলেন তিনি ব্যতিক্রম! আসুন জেনে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের গল্প।
কিন্তু সবকিছুর মধ্যে বেঁচে থাকে ব্যাতিক্রমী। তাঁরা গল্প বলা ভিন্ন। এমনই এক গল্পের স্রষ্ঠা কেরালার শায়জা, তাঁর নাকি গোঁফ রাখার শখ। মেয়েদের মধ্যে যে এমন আচরণ হতে পারে তা ভেবেই পারছেন না অধিকাংশ দেশবাসী। কিন্তু শায়জা যে সেই ভিন্ন গল্পের স্রষ্ঠা। শায়জা জানে জীবন নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে। আর জানে সেই পরিবর্তনে বহমান জলের বিপরীতে বাধা হিসাবে রয়েছে মাটি। আর আপাতত এই মাটির সঙ্গেই তাঁর লড়াই।
কেরালা রাজ্যের( Kerala News ) কান্নুরের বাসিন্দা শায়জার( Kerala Women ) বয়স এখন ৩৫। তিনি হেঁটেছেন তথাকথিত সমাজের ঠিক উল্টো পথে । হরমোনের তারতম্যের জন্য শায়জার মোটা গোঁফ রয়েছে কৈশোর বয়স থেকেই। আর সেই গোঁফে তা দিয়েই বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। কিশোরী বয়স কিন্তু একবারের জন্যও সেই গোঁফ কাটেননি তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই বড় হতে দিয়েছেন। গোঁফ নিয়ে শায়জার বিয়েও হয়েছে যথাসময়ে। তবে এই সিদ্ধান্তের জন্য শায়জাকে কম ট্রোলড ( Shaiza trolled for her moustache ) হতে হয়নি। প্রতি মুহূর্তে নিজের কাছের মানুষ থেকে শুরু করে সোশ্যাল মাধ্যমে তাঁকে হতে হয়েছে হাসির পাত্রী। কিন্তু কখনওই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি শায়জা । অনড় থেকেছেন সবসময় নিজের এই পদক্ষেপে।
শায়জার সমাজে মেয়েদের ছকে বাঁধা ইমেজকে ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন কৈশোর বয়স থেকেই। তাঁর মনের জোর ও ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন তাঁর স্বামী এবং তাঁর মেয়েও। মেয়েরা নিজের রূপ নিয়ে সচেতন শায়জাও তাই তবে সে গোঁফ নিয়ে আরও বেশি সচেতন। সে বিশ্বাস করে তাঁর গোঁফ তাঁর পরিচয়।
শায়জা জানিয়েছেন, ” আমি কখনই গোঁফ থ্রেডিং করাইনি। আমার মনে হয় না এই গোঁফের জন্য আমাকে সুন্দর দেখতে নয়। গোঁফ আমাকে আলাদা এক সৌন্দর্য এনে দিয়েছে। করোনা কালে আমার মাস্ক পরতে ভালো লাগত না। কারণ তখন আমার মুখ দেখা যেত না! আমি কখনই গোঁফ লুকোতে চাইনি। এটা একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা। লোকানোর কিছু নেই। এর জন্য সোশ্যাল মাধ্যমেও আমাকে নিয়ে ট্রোল করা হয়েছে। কিন্তু তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই। যারা মানতে পারেন না তারাই ট্রোল করেন। এখন আমি পরিবার নিয়ে যথেষ্ট খুশি। এই গোঁফ নিয়েই আমি একদম স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছি।”