Viral: সূদুর ফ্রান্স থেকে প্রেমের টানে পান্ডুয়া! প্যাট্রিসিয়া কুন্তলের প্রেম কাহিনী, অমর প্রেমকাহিনীকেও হার মানাবে

“আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে, সাত সাগর আর তেরো নদীর পারে” এই গানের কলি গুণ গুন করতে করতে কবে যে সত্যি হয়ে গেল পান্ডুয়ার কুন্তল ভট্টাচার্যের জীবনে। সাত সমুদ্র পেরিয়ে সুদূর ফ্রান্সের প্যাট্রিসিয়ার সঙ্গে আলাপ হয় কুন্তলের। পশ্চিমবঙ্গের একটি সাদামাটা গ্রাম পান্ডুয়ায় বাস কুন্তলের। কর্ম সূত্রে দিল্লিতে ছিলেন বেশ কিছুদিন। সেসময় একাকীত্ব কাটাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটু বেশি সময় থাকতেন কুন্তল । এসময় সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কথা হয় প্যাট্রিসিয়ার সঙ্গে। কে জানত মুঠোফোন বিদেশিনী বান্ধবীকে হাতের মুঠোয় এনে দেবে!
ফরাসি কন্যে প্যাট্রিসিয়া কুন্তলের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়।সাধারণ বন্ধুত্ব থেকে গভীর বন্ধুত্ব। ভিডিও কলে কথা হতে হতেই প্রেমের জোয়ার আসে। ভিডিও কলিংয়ে ভর ছিল না মন। মুখোমুখি সাক্ষাতে বাধ সেধেছিল ভৌগোলিক দূরত্ব। তবে প্রেম যেমন জাত,কুল,মান ভেবে হয় না, তেমনই ‘দূরত্ব’ সেখানে একটা শব্দ মাত্র। প্রাণের মানুষের সান্নিধ্য পেতে ফ্রান্স থেকে বিমানে চড়ে বসেন প্যাট্রিসিয়া। সেখান থেকে সোজা নতুন দিল্লি। সেখান থেকেই সোজা ফোন কুন্তলকে। তবে লকডাউন কাটতেই ফিরে এসেছিলেন কলকাতায়। তাই কুন্তল জানান,’‘আমায় ফোন করে বলল, দিল্লি এসেছি। আমিও বললাম, পরের বিমানে চেপে কলকাতায় চলে এসো।’’ ব্যাস আর কী! সোজা পরের প্লেনে কলকাতা।
এখন পান্ডুয়ার ঘরণী হতে প্রস্তুতি চলছে প্যাট্রিসিয়ার। খানেই কুন্তলের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে শুরু করবেন বসবাস। তাছাড়া এই সুযোগে ভারতবর্ষ ঘুরেও দেখা হয়ে যাবে। কুন্তলের পরিবারের একজন হয়ে উঠতে চান ফরাসি তন্বী। পান্ডুয়ায় এখন সাজো সাজো রব। খুব শীঘ্রই বাঙলার ছেলে, ফ্রান্সের মেয়ের গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে। ফরাসি মেয়ের এমন প্রেমের বিপ্লবে সাড়া দেওয়াকে কী বলা যায়, ফরাসি বিপ্লব?