Dim Kosha Recipe: বৃষ্টি ভেজা দুপুরে গরম ভাত, সঙ্গে ডিম কষা! সুস্বাদু এই পদ হার মানাবে চিকেনকে, রইল রেসিপি

শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকলেরই প্রিয় একটি খাবার হল ডিম। বাঙালির পছন্দের খাদ্য তালিকার মধ্যে ডিম থাকবে না এমনটা হতেই পারে না। ডিম যে রকম খেতে সুস্বাদু, সেরকমই এতে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন।
তবে এখনকার সময় পোল্ট্রির ডিমের তুলনায় দেশি মুরগির ডিমে যে বেশি পরিমাণে পুষ্টিমৌল রয়েছে, তা আমরা সকলেই জানি। এখন পোল্ট্রির ডিমের চাহিদা বাড়লেও আগেকার সময় কিন্তু সব বাড়িতে দেশি মুরগি কিংবা হাঁসের ডিমেই রান্না করা হত। আর সেসব ডিম দিয়ে বানানো পদ খুবই সুস্বাদু হত। এরকমই একটি পদ হল ডিম কষা। তাহলে আর দেরি না করেই ঝটপট বানিয়ে ফেলুন এই রেসিপি।
উপকরণ
৪ টি হাঁস বা দেশী মুরগির ডিম, গোটা জিরে ১ গ্রাম, ২ টি লবঙ্গ, ২ টি ছোট এলাচ, ১ টি দারচিনি, ১ টি তেজ পাতা, ২ টি শুকনো লঙ্কা, জিরে গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, আলু, ১০০ গ্রাম ঝিরি ঝিরি করে কাটা পিয়াঁজ, টমেটো কুচি, ২ টি কাঁচা লঙ্কা, আদা রসুন বাটা, সর্ষের তেল, পরিমাণ মতো নুন এবং চিনি
ডিম কষা তৈরির পদ্ধতি
ডিম কষা তৈরি করতে প্রথমে হাঁস অথবা দেশি মুরগির ডিম সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর সেই সেদ্ধ ডিমে ভাল করে হলুদ এবং নুন মাখিয়ে কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে ভেজে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ডিমের সব দিক যেন সমান ভাবে ভাজা হয়। পরের ধাপে চার টুকরো আলু হালকা সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার অপর একটি পাত্রে সর্ষের তেল গরম করে একে একে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ এবং গোটা জিরে ফোড়ন দিতে হবে। পর এর মধ্যে যোগ করতে হবে ঝিরিঝিরি করে কাটা পেঁয়াজ কুচি এবং চিনি। এবার কম আঁচে ৪ মিনিটের জন্য রান্না করতে হবে। এরপর এর মধ্যে আদা রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে রান্না করতে হবে কিছুক্ষণ। পরের ধাপে জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, নুন এবং জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেটি রান্নায় ঢেলে দিতে হবে। এবার জল টেনে যাওয়ার পর টমেটো কুচি এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে নেড়েচেড়ে আবারও সামান্য জল দিয়ে ৩ মিনিটের জন্য রান্না করতে হবে। এরপর প্রথমে সেদ্ধ করা আলু দিয়ে কম আঁচে ২ মিনিট আর পরবর্তীতে সেদ্ধ ডিম দিয়ে সবকিছুকে একসঙ্গে নেড়েচেড়ে নিয়ে জল ঢেলে ঢেকে রান্না করতে হবে। ব্যাস! তৈরি ডিম কষা। এবার গরম ভাতের সঙ্গে উপভোগ করুন এই পদ।