রাজনীতির বাইরে প্রকৃতিপ্রেমী.. মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে মাছ, পাখি, কুকুরদের বিস্কুট খাওয়ালেন দিলীপ, রইল ভিডিও

মর্নিংওয়াকে বেরিয়ে পশুপ্রেম

দিলীপ ঘোষ কি প্রকৃতিপ্রেমী? গাছপালা, পশুপাখি ভালোবাসেন? না, তাঁর গোমাতা প্রেমের কথা সবাই জানলেও এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়নি বিজেপি সাংসদকে। তবে বুধবার সকালে তাঁর ফেসবুক রিলস দেখে কেউ যদি এমন দাবি করে, অত্যুক্তি হবে না।

মর্নিং ওয়াক দিলীপবাবুর পুরনো অভ্যাস। ভোর ৫টা সাড়ে ৫টার সময় শর্টস আর গেঞ্জি পরে চলে যান ইকো পার্কে। চলে শারীরিক কসরত। ২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই এই দৃশ্য দেখছে বঙ্গবাসী। তাঁর সঙ্গে কখনও থাকে দলীয় কর্মীরা, কখনও তিনি একাই। সংগঠন বা প্রচারের কাজে জেলায় জেলায় ঘুরতে হয় তাঁকে। কিন্তু যেখানেই যান মর্নিং ওয়াক মাস্ট।

মর্নিং ওয়াক শেষে কখনও সখনও বসে চায়ের আড্ডা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করেন। চলে জনসংযোগ। দলীয় কর্মীরা থাকলে ঝালিয়ে নেন স্ট্র্যাটেজি। সেই অভ্যাস আজও বজায় রেখেছেন দিলীপবাবু। কয়েকদিন আগে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাতে বিশেষ হেলদোল দেখা গেল না। বরং এদিন সকালে অন্য মুডে ধরা দিলেন বিজেপি সাংসদ। পথকুকুর, পাখিকে বিস্কুট খাওয়ালেন। বাদ গেল না মাছেরাও।

নিজের ফেসবুক পেজে পশুপাখিদের খাওয়ানোর সেই ভিডিও পোস্ট করেছেন দিলীপবাবু। পরনে সাদা পাজামা পাঞ্জাবী। পায়ে রানিং শু। হাতে বিস্কুটের প্যাকেট। তা থেকে বিস্কুট ভেঙে পথকুকুরদের খাওয়াচ্ছেন। পার্কের বাঁশের বেড়ায় বসে আছে একঝাঁক কাক। তাদের সামনেও ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিস্কুটের গুঁড়ো। সব শেষে গেলেন লেকে। যেটুকু বিস্কুট বেঁচে ছিল খাইয়ে দিলেন মাছেদের। ভিডিওর শেষ দিকে দিলীপবাবুর ক্যামেরা ধরল সূর্যোদয়ের ছবি। মেঘের ভিতর থেকে সূর্যিমামা তখন সবে উঁকি দিচ্ছে।

ভিডিও-র ক্যাপশনে দিলীপবাবু লিখেছেন, ‘দিনের এই সময়টা আমার সবথেকে ভালো কাটে। মর্নিংওয়াকের পাশাপাশি এই অবলা জীবজন্তুদের সঙ্গে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। ওরাও যেন অপেক্ষা করে থাকে আমার আসার’।

 




Leave a Reply

Back to top button