রাজ্যে করোনায় ৭ মাসের শিশুর মৃত্যু, ডেঙ্গির সঙ্গে নতুন আতঙ্ক, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর
হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের

বর্ষা শুরু হতেই রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। এর মধ্যেই চিন্তা বাড়াল করোনা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তিন দিনে ৩ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এবার নদিয়ার হাসপাতালে করোনায় প্রাণ গেল ৭ মাসের শিশুর। ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছে মৃত শিশুর পরিবার।
জানা গেছে, মৃত শিশুর নাম ইহান দফাদার। নদিয়ার চাকদহ থানা এলাকার উত্তর ঘুগিয়া এলাকার বাসিন্দা। বয়স ৭ মাস। শিশুর মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেটে কোভিড ১৯-এর পাশাপাশি ফুসফুসে একাধিক জটিলতার উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা। রাজ্যে ফের পরপর কোভিডে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।
২৬ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাত মাসের ইহান দফাদারকে। ভর্তির সময় জ্বর ছিল। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। ফলে সঙ্গে সঙ্গে কোভিড পরীক্ষা করা হয়। টেস্ট রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপর শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। টানা ৭ দিনের লড়াই শেষে ৩১ জুলাই সন্ধ্যায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
শিশুর মৃত্যুর পরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছে পরিবার। মৃত শিশুর আত্মীয় আকাশ দফাদার বলেন, ‘কোভিড রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি চিকিৎসকরা। কোনও কোভিড প্রটোকল মানেনি হাসপাতাল। ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাও করেনি। সঠিক চিকিৎসা পেলে আমাদের বাচ্চাকে এভাবে মরতে হত না’। যদিও রোগীর পরিবারের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ডেঙ্গির সঙ্গে নতুন করে করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রবি, সোম এবং মঙ্গলবার পরপর তিনদিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আরও ১০-১২ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট পজিটিভ বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে। তবে মৃতদের করোনার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যাও ছিল।