মনুষ্যজীবন না পসন্দ, কুকুর হয়ে গেলেন জাপানের যুবক টাকো, কীভাবে জানলে আশ্চর্য হবেন

ইদানীং শরীর নিয়ে অনেকেই খুঁতখুঁতে। কোনও অঙ্গ পছন্দ না হলেই পটাং করে প্লাস্টিক সার্জারি

শখ। এক অদ্ভুত জিনিস। মোঘল সম্রাটদের ছিল হারেমের শখ। দেশ-বিদেশ থেকে সুন্দরী রমণীদের এনে গোলাম বানিয়ে রাখতেন। উনিশ শতকের বাবুরাও ছিলেন বারবণিতায় আসক্ত। যার কবজায় যত বণিতা, সে তত বড় বাবু। বিকেলবেলা তাদের নিয়ে জুড়ি গাড়ি চেপে গঙ্গার পাড়ে হাওয়া খেতে যেতেন। সময় বদলেছে, গঙ্গা দিয়ে বহু জল বয়ে গেছে। শখের ধরণও পাল্টেছে। কিন্তু তাই বলে মানুষ থেকে কুকুর হওয়ার শখ! হ্যাঁ, জাপানের এক যুবক তেমন কাণ্ডই ঘটিয়েছেন।

জাপানের ওই যুবকের নাম টাকো। ছোটবেলা থেকেই সারমেয়প্রেমী। মনুষ্যজীবন তার মোটে পছন্দ নয়। কুকুর হওয়ার শখ, হ্যাঁ ছোট থেকেই। কুকুরের মতোই জীবন কাটানোর ইচ্ছে তার। সেই ইচ্ছে পূরণে কোন খামতি রাখেননি টাকো। রোজকার জীবনে কুকুরদের মতোই চার পায়ে হাঁটাচলা করতেন। থালাতে মুখ নামিয়ে জিভ বের করে খেতেন। মানে কুকুররা যেমনটা করে আর কী!

Japan,Dog,Viral,Japanese Man Turn Dog

কিন্তু এতেও মন ভরছিল না টাকোর। নিখুঁত কুকুর হয়ে ওঠা হচ্ছিল না যে। টাকোর মনের অভিলাষ  সে রকমই। ইদানীং শরীর নিয়ে অনেকেই খুঁতখুঁতে। কোনও অঙ্গ পছন্দ না হলেই পটাং করে প্লাস্টিক সার্জারি। কেউ স্তন বড় করছেন তো কেউ নিতম্ব, কারও জন্মগত ঠোঁট না পসন্দ, তো চলো ডাক্তারের কাছে। একজন তো আবার ভিনগ্রহী হতে চেয়ে নাক, কান সব কেটে ফেলেছেন। কিন্তু প্লাস্টিক সার্জারি করে তো আর মানুষ থেকে কুকুর হওয়া যাবে না, তাহলে উপায়?

ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। টাকোও উপায় বের করেছেন। সার্জারি করে কুকুর হওয়া যাবে না যখন কুকুর সাজা তো যাবে!  সেই পথেই হেঁটেছেন টাকো। একটি পোশাক নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে কুকুরের কস্টিউম বানিয়েছেন তিনি। দাম পড়েছে ১১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা। কুছ পরোয়া নেহি। শখ মেটাতো ‘এটুকু’ খরচ করাই যায়। তবে টাকোর কড়া নির্দেশ ছিল, কস্টিউম এমন ডিজাইন করতে হবে যাতে কেউ ধরতে না পারে যে এটা কুকুর নয়।

তেমনই হয়। কস্টিউম বানিয়ে দেয় সেই সংস্থা। টাকো সেটা পরে কুকুর হন, নিখুঁত কুকুর। খুব ভাল করে দেখলেও বোঝার উপায় নেই, এটা আসলে বাঘছাল পরা শিয়াল। যাইহোক নিজের কুকুর হওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন টাকো। যা হওয়ার তাই হয়েছে। মুহূর্তে ভাইরাল। নেটিজেনদের চক্ষু চড়কগাছ। আর টাকোর ইচ্ছেপূরণ।




Leave a Reply

Back to top button