গিলের জন্যে কি ফার্স্ট ডাউন ছাড়বেন কোহলি? রাহুল-শ্রেয়স ফিট না হলে এশিয়া কাপের টিম কী হবে?
আগামী সপ্তাহেই এশিয়া কাপের টিম ঘোষণা

ভারতীয় টিমের জন্য বড় ধাক্কা। কেএল রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ার সুস্থ হয়ে উঠলেও খেলতে পারবেন না এশিয়া কাপে। সামনে বিশ্বকাপ। এই মুহূর্তে তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারতীয় বোর্ড। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। আগামী সপ্তাহেই এশিয়া কাপের টিম ঘোষণা হবে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যাবে পুরো ছবিটা।
আইপিএল-এ খেলার সময় ঊরুতে চোট পান রাহুল। পুরো মরশুম খেলতে পারেননি। লন্ডনে অস্ত্রোপচার হয়। তারপর থেকে বেঙ্গালুরুর এসি-তে রিহ্যাবে ছিলেন। কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। নেটে ব্যাটিং শুরু করেছেন। তাঁর উইকেটকিপিংয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে তাঁকে দেখে সুস্থই মনে হচ্ছে। কিন্তু ৫০ ওভারের ম্যাচে তাঁকে এখনই নামাতে চাইছেন না নির্বাচকরা।
ভারতের এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের দলে কেএল রাহুল অটোমেটিক চয়েজ। যদিও টি২০ এবং টেস্টে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। মেলেনি বড় রানও। তবে ওয়ান ডে-তে কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে রাহুলকে ছাড়া অন্য কারও কথা নির্বাচকরা ভাবছেন না। পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে তাঁর রেকর্ডও ভালো। তাই এশিয়া কাপে রাহুলের দলে না থাকাটা বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ শুধু উইকেটকিপার নয়, মিডল অর্ডারে টিমের হাল ধরতে পারে এমন একজনকেও খুঁজে বের করতে হবে নির্বাচকদের।
শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাপারটা আরও উদ্বেগজনক। ব্যাক ইনজুরি কাটিয়ে উঠেছেন। কিন্তু পুরো ফিট হননি। শোনা যাচ্ছিল, এশিয়া কাপেই তিনি জাতীয় দলে ফিরছেন। কিন্তু সে গুড়ে বালি। সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপের আগে অষ্ট্রেলিয়ার মাটিতে একদিনের সিরিজ খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সেখানেই হয়ত রাহুল এবং শ্রেয়সকে দেখে নিতে পারেন নির্বাচকরা। আপাতত ধরে নেওয়া যায়, সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে যে ভারতীয় দল নেমেছিল, তাঁদেরকেই মোটামুটি এশিয়া কাপে খেলতে দেখা যেতে পারে।
টপ অর্ডারকে ঢেলে সাজানোর ভাবনা রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। বিশ্বকাপের আগে এটা গুরুত্বপূর্ণ। ইশান কিষাণ যদি রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নামে তাহলে শুভমন গিল কত নম্বরে খেলবেন? এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে নির্বাচকদের। ঘরোয়া ক্রিকেটে গিল ৩-এ বা তারপরে ব্যাট করতেন। জাতীয় দলেও সেটা হলে কোহলিকে সরতে হবে। এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটে ফার্স্ট ডাউনে কোহলির কোনও বিকল্প নেই। ওয়ানডেতে ১২৮৯৮ রানের মধ্যে ১০৭৭৭ রান, ৪৬টি ওডিআই সেঞ্চুরির মধ্যে ৩৯টি এসেছে ৩ নম্বরে ব্যাট করার সময়ই। এখন দেখার নির্বাচকরা কি টিম সাজান।