টাকা দিয়ে চাকরি কেনার অপরাধে ৪ শিক্ষকের জেল, এবার আরও ৭ জনকে ডেকে পাঠাল সিবিআই
চাকরির কাগজপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

কৌশিক, কলকাতা:
ঘুষ নেওয়া অপরাধ, ঘুষ দেওয়াও। এই আপ্তবাক্যটাই ৪ শিক্ষককে বুঝিয়ে দিল আদালত। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অপরাধে ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। এখানেই শেষ নয়, আরও ৭ শিক্ষককে তলব করেছে সিবিআই। বুধবার তাঁদের নিয়োগের নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, ৭ শিক্ষকের প্রত্যেকেই বাঁকুড়ার বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করেন। সোমবারই এঁদের হাজিরা দিতে বলে চিঠি পাঠানো হয়। বুধবার নিয়োগ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত নথি নিয়ে তাঁদের নিজাম প্যালেসে আসতে বলা হয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করে চাকরি পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাতেই তাঁদের তলব করা হয়েছে।
ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। এঁদের প্রত্যেকেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। আদালতে আত্মসমর্পণ করে তাঁরা জামিনের আর্জি জানান। কিন্তু বিচারক তাঁদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ধৃতরা হলেন সৌগত মণ্ডল, সিমার হোসেন, জাহিরুদ্দিন শেখ এবং সায়গল হোসেন। সিবিআই-এর চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে এঁদের নাম ছিল। ২১ আগস্ট পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে তাঁদের।
এই নিয়ে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাঁদের কেন সাক্ষী হিসেবে দেখানো হচ্ছে, সিবিআইয়ের কাছে জানতে চায় আদালত। এরপরই আলিপুর কোর্টের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় চারজনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আদালতের বক্তব্য ছিল, ঘুষ নেওয়া এবং ঘুষ দেওয়া সমান অপরাধ। তাই যারা চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন, তাঁদেরও গ্রেফতার করতে হবে। বিচারকের কথায়, এই শিক্ষকরা তো নিজেরা গিয়ে টাকা দিয়ে এসেছেন। কেউ জোর করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়নি! এরপরই তাঁদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত ৪ শিক্ষক ৫-৬ লক্ষ টাকা করে ঘুষ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।