‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন’, বুদ্ধবাবুর জন্য ফুল পাঠালেন ভুটানের রাজা, আজই ছুটি হতে পারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

পাম অ্যাভেনিউয়ের ফ্ল্যাটে সাজো সাজো রব। নার্সিংহোমের বাইরে প্রস্তুত করা হচ্ছে সিসিইউ অ্যাম্বুলেন্স।

কৌশিক, কলকাতা: আপাতত সুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আজ, বুধবার নার্সিংহোম থেকে ছুটি হতে পারে তাঁর। পাম অ্যাভেনিউয়ের ফ্ল্যাটে সাজো সাজো রব। নার্সিংহোমের বাইরে প্রস্তুত করা হচ্ছে সিসিইউ অ্যাম্বুলেন্স। এর মধ্যেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পুষ্পস্তবক পাঠালেন ভুটানের রাজা। এদিন হাসপাতালে ফুল নিয়ে আসেন ভুটানের প্রাক্তন কনসাল জেনারেল দাসু শ্রিং ওয়াংদা। বুদ্ধবাবুর সুস্থতা কামনায় ভুটানের রাজা এই ফুল পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।

নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত ২৯ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন চিকিৎসকরাও। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন। গত শুক্রবারই চিকিৎসকরা জানিয়েছিল, তিনি সংক্রমণমুক্ত। তবে কিছু জটিলতা রয়েছে। তাই সেই সময় তাঁকে ছাড়া হয়নি। আজ দীর্ঘ ১২ দিন পর ছুটি পাবেন তিনি।

Buddhadeb Bhattacharya,King Of Bhutan,Flower,West Bengal,Discharge

চিকিৎসকরা জানিয়েছে, বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেকটা ভালো। সহকারীর সঙ্গে গল্পগুজব করছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলছেন। বেডে উঠে বসছেন। শুনছেন রবীন্দ্রসঙ্গীত। ভর্তি হওয়ার পর থেকে তাঁকে রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছিল। গত দু’দিন মুখ দিয়েই খাচ্ছেন। তাঁকে দেখতে আসা ঘনিষ্ঠদের সঙ্গেও কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে না। বিমান বসুর কাছে আম খাওয়ার বায়না ধরেছিলেন। সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন তিনি।

এরপরই শনিবার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা বৈঠকে বসেন। সেখানেই বুদ্ধবাবুকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা বলেন, ‘স্যর আমাদের সমস্ত কথা শুনছেন। ভালো আছেন। এটাই তাঁকে বাড়ি ফেরানোর আদর্শ সময়। তবে শুধু থাকার জায়গাই বদল হচ্ছে। মেডিক্যাল টিমের মনিটরিং, সুপারভিশন একই রকম ভাবে চলবে’।

পাম অ্যাভেনিউয়ের যে ঘরে বুদ্ধবাবু থাকবেন, তা পরিদর্শন করে এসেছেন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার বেলার দিকে তাঁরা যান। কোন জায়গায় বিছানা থাকবে, কোথায় চিকিৎসা সরঞ্জাম, সব কিছু ঠিক করে দিয়েছেন। গোটা ফ্ল্যাট জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। একটি নতুন বাইপ্যাপেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগেরটা প্রায় ৩ বছরের পুরনো। পাশাপাশি ঘরে একটি কার্ডিয়াক মনিটরও রাখা হচ্ছে।




Leave a Reply

Back to top button