শ্রাবণে মহাদেবের খেল! শিবলিঙ্গ সরানোর রায় লিখতে গিয়ে অজ্ঞান রেজিস্টার, তারপর যা হল…
বিতর্কিত জমিতে স্থাপন হওয়া শিবলিঙ্গ সরানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি, তারপরই ঘটল আজব ঘটনা

পূর্বাশা, হুগলি: প্রকৃতিতে বিরাজমান শ্রাবণ মাস। এই মাসে একত্রিত হন শিব ভক্তেরা। মন্দিরে মন্দিরে জল ঢালা, ভক্তিভরে পুজো দেন তাঁরা। সারাবছর ধরে মহাদেবের পুজো হলেও শ্রাবণ মাসে বিশেষ ভিড় জমে মহাদেবের ভক্তদের। আর এই শ্রাবণ মাসেই এক অবাক করা কান্ডের সাক্ষী রইল কলকাতা হাইকোর্ট। অনেকে এই ঘটনাকে মহাদেবের খেল যেমন বলছেন তেমনই আবার অনেকে বলেছেন দেবাদিদেবের কৃপা।
ঘটনাটি ঠিক কী? মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার খিদিরপুরের দুই বাসিন্দার মধ্যে একটি জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। বিষয়টি হাতাহাতিতে পৌছতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ দুই পক্ষের বিরুদ্ধে মারামারির চার্জশিট পেশ করে। তবে ঘটনার রেশ কাটেনি তখনও। সূত্রের খবর, ওই বিতর্কিত জমিতে শিবলিঙ্গ স্থাপন করেন একপক্ষ। সেই শিবলিঙ্গ সরানোর দাবি তুলে থানায় অভিযোগ জানায় অপরপক্ষ। এরপর ঘটনার মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে।
বিচারপতি একপক্ষকে প্রশ্ন করেন কেন তিনি ওই বিতর্কিত জমিতে শিবলিঙ্গ স্থাপন করেছেন। তার উত্তরে ব্যক্তি জানান, শিবলিঙ্গ নিজেই মাটি ফুঁড়ে উঠেছে। এরপরই বিচারপতি বলেন, এভাবে শিবলিঙ্গ স্থাপন করা যায়না ও তিনি শিবলিঙ্গ সরানোর নির্দেশ দেন। এজলাসে উপস্থিত সহকারী কোর্ট রেজিস্টার বিশ্বনাথ রায় সেই রায় নথিভূক্ত করতে বসেন। আর তারপরেই ঘটে আজব ঘটনা। রেজিস্ট্রার বিশ্বনাথ রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। অসুস্থ বিশ্বনাথ রায়কে হাইকোর্টের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার মিনিট দশেক পর এজলাসে ফেরেন বিচারপতি এবং তিনি নির্দেশ দেন, এই মামলায় আর হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। ঘটনার বিচার হবে নিম্ন আদালতের দেওয়ানি মামলার মাধ্যমে।