তরতরিয়ে ছুটছে স্প্যানিশ আর্মাডা, সর্বকনিষ্ঠের গোলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে স্পেন
সালমা পারালুয়েলোর। বয়স মাত্র ১৯। স্পেনের মহিলা ফুটবল টিমের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়।

সালমা পারালুয়েলোর। বয়স মাত্র ১৯। স্পেনের মহিলা ফুটবল টিমের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। তাঁর অনবদ্য গোলেই মহিলা বিশ্বকাপে ডাচদের হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল স্পেন। স্টেডিয়াম তখন শুধুই লাল ঝড়। স্পেনের ফুটবল ইতিহাসে বিশ্বকাপে মেয়েদের শেষ চারে ওঠা এবারই প্রথম। এর আগে শেষ ষোলোতেই থেমে যেতে হয়েছিল সালমাদের।
২০১০ বিশ্বকাপজয়ী স্পেনের পুরুষ দলের মতো তারকাখচিত না হলেও টিম গেমেই বাজিমাত করেছে মহিলা টিম। ৯০ মিনিটের বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়েছিল তারাই। কিন্তু গোল খুঁজে পেতে বারবার সমস্যায় পড়েছে। ম্যাচের ৮১ মিনিটে যে গোলে স্পেন এগিয়ে যায়, সেটাও পেনাল্টি থেকে আসে। দশ মিনিট আগে বদলি হিসেবে নামা সালমা পারালুয়েলোরের ক্রস ডাচ খেলোয়াড় স্টেফানি গ্রাটের হাতে লাগে। পেনাল্টি দেন রেফারি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্পেনকে এগিয়ে দেন মারিওনা কালদেন্তে।
গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ডাচরা। খেলা শেষের বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগে খেলায় সমতা ফেরান সেই গ্রাটই। ম্যাচ ১-১ করে ফেলে ডাচরা। অতিরিক্ত আধঘণ্টায় দুই দলই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেয়। তবে শেষ চার মিনিটে ম্যাচে স্পেনের আধিপত্য নিশ্চিত করেন সালমা। মাঝমাঠে হারমোসোর কাছ থেকে বল পেয়ে দুই ডাচ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পৌঁছে যান ডাচদের পেনাল্টি বক্সে। চোখের পলকে জোরালো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে।
গ্রুপ লিগে জাপানের কাছে ৪-০ হারের ধাক্কা কাটিয়ে নক আউটে দুর্দান্ত ফর্মে ফিরেছে স্পেন। সুইজারল্যান্ডকে হারিয়েছে ৫-১ গোলে। এই মুহুর্তে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৬ নম্বরে স্পেন। ২০১৫ সালে মহিলাদের বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল তারা। সেবার গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিয়েছিল। ২০১৯-এ তারা পৌঁছয় নক আউটে। কিন্তু জয় হাসিল করতে পারেনি। এবার প্রথম থেকেই ছুটছে স্পেনীয় আর্মাডা। সেমিফাইনালে জাপান-সুইডেন ম্যাচে জয়ীদের সঙ্গে খেলতে হবে সালমাদের।