মমতার মুখে ‘জয় ইন্ডিয়া’ স্লোগান, বলে দিলেন, ‘বাংলাকে কেউ ধমকাতে চমকাতে পারবে না’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে প্রায়ই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শোনা যায়। শাসক দলের কর্মীরাও দেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে প্রায়ই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শোনা যায়। শাসক দলের কর্মীরাও দেন। সোমবার মমতার মুখে শোনা গেল নতুন স্লোগান। ‘জয় ইন্ডিয়া’। এদিন আলিপুরের ধনধান্য স্টেডিয়ামে কন্যাশ্রীদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ পর্বে মমতার মুখে ‘জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম, জয় বাংলা’র সঙ্গে ‘জয় ইন্ডিয়া’ স্লোগান শোনা যায়। তাঁর কথায়, ‘বাংলাকে যেন কেউ ধমকাতে চমকাতে না পারে’।
২০১৩ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্প শুরু করেন মমতা। তারপর দশ বছর কেটে গিয়েছে। এই প্রকল্পে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার। সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ৮১ লাখ ছাত্রী। প্রকল্পের দশ বছর উপলক্ষ্যে ধনধান্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। উপস্থিত ছিলেন কন্যাশ্রীর সুবিধাভোগীরা। তাঁদের সামনে এই প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা বলেন, ‘আজ কন্যাশ্রী একটা ব্র্যান্ড। সারা বিশ্বের বুকে এই ব্র্যান্ডের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। আমি বিশ্বাস করি, এটা একদিন ইন্টারন্যাশনাল গার্ল চাইল্ড ডে হিসাবে সারা পৃথিবীতে উদযাপিত হবে’। বিশ্বমঞ্চে খেতাব জিতে নিয়েছে কন্যাশ্রী। এদিন তাও উঠে আসে মমতার কথায়, ‘কন্যাশ্রী প্রথম হওয়ায় গর্বে আমার বুক ভরে উঠেছিল। আমি নেদারল্যান্ডে যাই পুরস্কার নিতে’।
আগামীকাল ১৫ আগস্ট। তার ঠিক আগের দিন কন্যাশ্রী প্রকল্পের দশ বছর উদযাপিত হল। মমতা এদিন ছাত্রীদের সামনে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অমর গাথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা থেকেই হয়েছিল স্বাধীনতার লড়াই। আন্দামানের সেলুলার জেলে যত নাম আছে তার ৯০ শতাংশই বাংলার। এরপর আছে পাঞ্জাব।
অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ লগ্নে ‘জয় ইন্ডিয়া’ স্লোগান দেন মমতা। এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। সম্প্রতি বিরোধীরা একত্রে তৈরি করেছে ‘I.N.D.I.A’ জোট। তৃণমূল সেই জোটের অন্যতম শরিক। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ মুখও। তাই এদিন মমতার ‘জয় ইন্ডিয়া’ স্লোগান দেশের জন্য জয়ধ্বনি নাকি জোটের নামে স্লোগান, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।