কালিম্পংয়ে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বুলডোজার ব্যবহারের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
কলকাতার পর এই শৈল শহর কালিম্পংয়ে একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দেশনামায় তিনি বুলডোজার ব্যবহার করার অনুমতিও দিয়েছেন

শুভঙ্কর, কলকাতা: কলকাতা থেকে কালিম্পং দূরত্ব ৬৪৮ কিলোমিটারের থেকেও বেশি। কিন্তু এই দুই জায়গাকে কোথাও একসঙ্গে মিলিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ফের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল বুলডোজারের কথা। প্রসঙ্গত এর আগে কলকাতার একটি মামলার ক্ষেত্রেও তিনি বুলডোজার শব্দ ব্যবহার করেন।
কলকাতার পর এই শৈল শহর কালিম্পংয়ে একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দেশনামায় তিনি বুলডোজার ব্যবহার করার অনুমতিও দিয়েছেন। কালিম্পং পৌরসভার ১১ মাইল রিষি রোডে বেআইনি নির্মাণ ঘিরে একটী মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ দিনের মধ্যে সেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। তাঁর নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বেআইনি নির্মাণ পাঁচ দিনের মধ্যে ভাঙ্গা না হলে পুরসভার বিরুদ্ধে নিজে থেকেই মামলা করবে আদালত। পুরসভা চাইলে ওই নির্মাণ ভাঙতে বুলডোজার ব্যবহার করতে পারে বলেও নির্দেশে জানান। এর আগে কলকাতার একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতেও বুলডোজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কালিংপং পুরসভার অধীনে থাকা ওই জায়গায় একটি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শিলিগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে বীরবাহাদুর বলন নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। তার অভিযোগ , পাহাড়ি এলাকায় এই ধরণের নির্মাণ বিপদ ডেকে আনতে পারে। ওই নির্মাণের উপরের অংশে একটি স্কুলও রয়েছে।গত সোমবার ওই নির্মাণটি রাত ১২টার মধ্যে ভাঙার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সে ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে আদালতের নির্দেশের পরেও বেআইনি নির্মাণটি সম্পূর্ন ভাঙা হয়নি। কেন আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি তা জানতে পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকে তলব করে আদালত। পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়ে জানান প্রাথমিক ভাবে কিছু অংশ বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছিল মনে করা হয়। পরে দেখা যায় পাহাড়ে ওই ভবনটি সম্পূর্ণ বেআইনি। ফলে পুরসভার অতিরিক্ত সময় লাগবে সেটা ভাঙ্গতে।তিনি আবেদন করেন কমপক্ষে পাঁচ দিন সময় দেওয়া হোক। এই আর্জি মঞ্জুর করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি জানান, আগামী ২২ অগাস্ট বিকেল ৪টের মধ্যে ওই ভবনটি ভাঙতে হবে।