‘যাদবপুরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দরকার, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান উঠবে’, বিস্ফোরক দিলীপ
রণংদেহি দিলীপ। শুরু বিতর্কও

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। চলছে রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়িও। এর মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন দিলীপ ঘোষ। কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর ঠান্ডা করে দিয়েছি, যাদবপুর কোন ছাড়। এই সব সমাজবিরোধীদের মাথা থেঁতো করে দেওয়া উচিত’।
সম্প্রতি যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার নিন্দা করে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর কথা বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার দিলীপের গলাতেও একই সুর। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারকে ‘নপুংসক’ আখ্যাও দেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় দলীয় সভায় যোগ দেন দিলীপ। সেখান থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিশানা করেন তিনি। দিলীপ বলেন, ‘বাইরে বের হও দেখি। কত আজাদি চাও বুঝে নেব। এই সব সমাজবিরোধীদের মাথা থেঁতো করে দেওয়া উচিত’। এখানেই না থেমে তিনি যোগ করেন, ‘কাশ্মীর ঠাণ্ডা করেছি, তো কোথায় যাদবপুর।’
দিলীপের কথায়, ‘এদের কোনও ক্ষমা নেই। যেখানেই সমাজবিরোধীরা মাথা চাড়া দিয়েছে, মাথা বুট দিয়ে কুচলে দিয়েছি। আজ হোক, কাল হোক ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। যান জেএনইউতে গিয়ে দেখে আসুন। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি উঠবে।’
শুধু যাদবপুর নয়, দিল্লির জেএনইউ, হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কেও নিশানা করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘এরা একই তারে জোড়া আছে। এখানে বারবার বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি মাথাচাড়া দেয়। দেশকে টুকরো করার স্লোগান ওঠে। এরা টুকরে টুকরে গ্যাং’।
কমিউনিস্টদেরও একহাত নেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘আমার আপনার বাড়ির ছেলেরা কমিউনিজম কী জানে না। নকশাল রাজনীতি বোঝে না। কিন্তু ওখানে গিয়ে অতিবাম হয়ে যায়। আসলে ওই পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে। মদ গাঁজার আসর বসাচ্ছে। টিভিতে বুক ফুলিয়ে বলছে, আমরা মাওবাদী’।
দিলীপের এই বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘দিলীপবাবুর মন খারাপ। সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ চলে গিয়েছে। দলেও গুরুত্ব নেই। ফলে এই সব কথা বলছেন’।