‘…দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহ নয়’, ভারতের সাফল্যে পাক-বাংলাদেশকে খোঁচা তসলিমার
চাঁদে পা দিয়েছে ভারত। আমেরিকা, চিন, রাশিয়ার সঙ্গে এক নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হচ্ছে ভারতের নাম। ইসরো আজ বিশ্ববন্দিত।

চাঁদে পা দিয়েছে ভারত। আমেরিকা, চিন, রাশিয়ার সঙ্গে এক নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হচ্ছে ভারতের নাম। ইসরো আজ বিশ্ববন্দিত। এই ঘটনায় ভারতকে শুভেচ্ছা জানালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। একই সঙ্গে কটাক্ষ করলেন বাংলাদেশ, পাকিস্তানকে। তসলিমা বললেন, ‘ওদের দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহ নয়’।
ভারতের চন্দ্রযান নিয়ে বাংলাদেশের অনেকেই ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে সে সব ভিডিও। বেশিরভাগই ইউটিউবার, ব্লগার। তাঁদের মতে, সাধারণ মানুষ খেতে পাচ্ছে না, সেখানে চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়ে কী হবে! পড়শি দেশের সাধারণ মানুষের মতও এমনটাই। অর্থাভাবের মধ্যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে চাঁদে মহাকাশযান পাঠানো তাঁদের মতে বিলাসিতা।
এই প্রসঙ্গ টেনে ‘লজ্জা’, ‘মেয়েবেলা’র স্রষ্টা তসলিমা লিখেছেন, ‘অনেকে বলবে, কত দারিদ্র, কত লোক খেতে পায় না, কত লোকের বাড়িতে টয়লেট নেই, কী দরকার চাঁদে গিয়ে, এত টাকা খরচ করে? আমি বলবো, বিজ্ঞানের অগ্রগতির দরকার সব সময়। একই সঙ্গে দারিদ্রও দূর করা দরকার। একই সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সচেতনতাও বাড়ানো দরকার। একটির উন্নতি করতে গেলে আরেকটির উন্নতি স্থগিত রাখতে হয় না’।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে মৌলবাদী গতিবিধি বাড়ছে বলে অনেকেই উদ্বিগ্ন। একই মত তসলিমারও ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের এককালের অংশ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কি আগামী ১০০ বছরে চাঁদে পা রাখা সম্ভব? না। তারা ধর্মে ডুবে আছে, বিজ্ঞানকে দূরে সরিয়ে। কোরানই নাকি তাদের বিজ্ঞান। যতদিন কোরান তাদের বিজ্ঞান শেখাবে, ততদিন তাদের দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত নয়’।
বুধবার ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করেছে ভারত। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, ব্যর্থতা পেরিয়ে এখন আনন্দ। সাফল্যের উদযাপন। এখন দক্ষিণ মেরুতে জলের খোঁজ করবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এটাই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। তসলিমা সাফল্য করেছেন, ‘ভারত এখন চাঁদে। চন্দ্রায়ন-৩ আলতো ভাবে চাঁদের গায়ে পা রাখলো এই মাত্র। অভিনন্দন ভারত’।