তাহলে কি কমতে চলেছে বিদ্যুতের বিল! কি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্য সরকার কয়েক মাস আগেই দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের উপরে রেখা সকলের সামনে আনে। এখানে কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়। সম্প্রতি অতীতে সেখান থেকে কয়লাও পাওয়া গিয়েছে।

শুভঙ্কর, কলকাতা: বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ বিল নিয়ে রাজ্যের বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনা যায়। বিরোধীরাও অনেক সময় বিদ্যুতের বিল নিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচাও মারে। তবে এবার কি কমতে চলেছে বিদ্যুৎ বিল? এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব বাংলা মিলন মেলা প্রাঙ্গণে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেউচা-পাচামির কথা উল্লেখ করেন তিনি। এর সঙ্গে সঙ্গেই জানান দেউচা-পাচামিতে কয়লা পাওয়া গিয়েছে এবং তার ফলে পশ্চিমবঙ্গে আগামী বহু বছর পাওয়ার সাপ্লাইয়ে আর কোনও বাধা থাকবে না।
রাজ্য সরকার কয়েক মাস আগেই দেউচা-পাঁচামি প্রকল্পের রূপরেখা সকলের সামনে আনে। এখানে কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়। সম্প্রতি অতীতে সেখান থেকে কয়লাও পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ কাটিয়ে এই প্রকল্প আংশিক এলাকায় শুরু হয়েছে। মিলন মেলার মাঠে নিজের বক্তব্য রাখতে উঠে সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, “ ওখানে যা কয়লা উৎপাদন হবে, তাতে এখানে আগামী ১০০ বছরে পাওয়ারের অভাব হবে না। দেউচা-পাচামি প্রকল্পে আদিবাসী, সংখ্যালঘু ও সাধারণ মানুষ খুব সাহায্য করেছে”। তিনি আরোও জানান বীরভূমের এই জায়গায় সাধারণ মানুষের জন্য প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম কমার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসংস্থান নিয়েও মুখ খোলেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের ফলে কয়েক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দেউচা-পাচামি জমি প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ভাবে এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়াও পরোক্ষভাবে আরও অনেক মানুষ কর্মসংস্থান পাবে বলে জানান তিনি। মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, বীরভূম, মালদার লোকেরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই একই মঞ্চে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিমার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এই বীমা করা থাকলে পরিচয় শ্রমিকদের মৃত্যু ঘটলে তার পরিবারের লোকজন টাকা পাবে বলে জানানো হয়েছে। মাছের ভেড়ি, বাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ও ইটভাটার শ্রমিকদেরও এই প্রকল্পের অধীনে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের স্বপক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। এর আওতায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়। যার মধ্যে 25 হাজার টাকার ভর্তুকি থাকে ও লোনের গ্যারান্টারও থাকে সরকারই। এর পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি শিল্পের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন তিনি।