সোশ্যাল মিডিয়া ডেকে আনছে বিপদ! ফেসবুকের থেকেও ভয়ানক ইনস্টাগ্রাম, ফাঁস গোপন তথ্য
সময়ের সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের অঙ্গে পরিণত হয়েছে। যেটা এমনিতেই চিন্তার বিষয় হয়ে ঊঠছে। এমনিতেই লকডাউনে ঘরে বসে থেকে বেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার। ছোটো ছেলে মেয়েদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া বিনোদনের অন্যতম বিষয় হয়ে ওঠায় ঝুঁকি বেড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মনোবিজ্ঞানীদের মত, ব্যক্তিগত গোপনীয় বহু বিষয় ভার্চুয়ালি চলে যাচ্ছে অন্যের কাছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলেই বাড়ছে মানসিক অবসাদের মতন রোগ।
এরই মধ্যে ফেসবুকের এক উচ্চ পর্যায়ের কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন সম্প্রতি উস্কে দিয়েছে বিতর্ক। ফেসবুকের এক অভ্যন্তরীণ গবেষণাপত্র ফাঁস করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “ফেসবুক নিরাপত্তার খাতিরে সামান্য মুনাফাও ছাড় দিতে রাজি নয়। এমনকি ফেসবুক নিঃসন্দেহে ঘৃণা বাড়িয়ে দেয়।” এমনকি ফেসবুকের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান অপর্যাপ্ত বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
-
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেডিকেল ছাত্রীর মাথায় উঠল সেরার মুকুট…December 13, 2023
-
সকলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের ‘জনপ্রিয় নেতা’ মোদিইDecember 9, 2023
-
ChatGPT-র অন্তর্বর্তী CEO হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মীরা মুরাতি ।November 18, 2023
লন্ডনে এমপি ও লর্ডসের এক কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সেস হাউগেন। সেখানে যুক্তরাজ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করার জন্য আলোচনা হয়। সেখানে ফ্রান্সেস বলেন, “ইন্সটাগ্রাম অন্য সামাজিক মাধ্যমগুলির চেয়ে বেশি বিপজ্জনক।” এর ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ইনস্টাগ্রামে মানুষের সামাজিক অবস্থান,সৌন্দর্য, জীবনধারা, কর্মক্ষেত্র প্রভৃতির উপর মানুষের ফলোয়ার নির্ভর করে।
ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের তুলনাও করেছেন তিনি। তাঁর মতে, অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম যেখানে পারফরম্যান্স, খেলাধুলা, প্রতিভা প্রভৃতির উপর জোড় দেওয়া হয় সেখানে ইন্সটাগ্রাম নিঃসন্দেহে বাচ্চাদের জন্য খারাপ। এমনকি এটি মানুষের বাজে খাদ্যাভাসকে প্রচার করছে। জেনে বুঝে সামাজিক বিভেদ তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আলোচক কমিটি কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রস্তাবিত আইনে ঠিকঠাক করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর শুল্ক চাপানো হবে। এ ছাড়াও ব্রিটেনের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকের কর্তৃপক্ষ সোশ্যাল মিডিয়াগুলি সারাক্ষণ নিরীক্ষণে রাখবেন। ইনস্টাগ্রামকে আরোও নিরাপদ করে তোলার জন্য অনুরোধ করেছেন ফ্রান্সেস হাউগেন।