উপনির্বাচনে বিরাট ব্যবধানে জয় তৃণমূলের, জিতে থাকা আসনেও ভরাডুবি বিজেপির

সাধারণত পরিসংখ্যান সত্যিই হল। শাসক দলের জয় নিশ্চিত হয় প্রতি উপনির্বাচনেই। গত ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চারটি বিধানসভা শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা ও খড়দহ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়। আজ ২ নভেম্বর উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায়, চারটি কেন্দ্রেই বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে উপনির্বাচনে জয়ী হ‌ওয়া প্রতিটি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

গোসাবা ও খড়দহের তৃণমূল প্রার্থীর মৃত্যু অন্যদিকে দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিজেপির জয়ী প্রার্থী তাঁদের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়ার কারণে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত, বিজেপির জেতা আসন দিনহাটা ও শান্তিপুরেও তৃণমূল বিরাট ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির জেতা আসন খোয়ানোয় কার্যত কিছুটা ব্যাকফুটে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সকাল ৮টায় কড়া নিরাপত্তায় খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা শুরু হয়। পিটিআইয়ের সূত্র অনুযায়ী, বিজেপির বরাবরের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের উদয়ন গুহ ১৫ রাউন্ড গণনার পর ১.৫১,১৬৩ ভোট পান। যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অশোক মণ্ডল পান ১৯,৫৬২ ভোট।

গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে ১৫ রাউন্ড গণনার পর তৃণমূলের সুব্রত মণ্ডল ১,৫১,৪৫২ ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপির পলাশ রানা পেয়েছেন ১৮,১৩৪ ভোট। খড়দহে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে পরিচিত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সিপিএমের দেবজ্যোতি দাস একসময় এগিয়ে থাকার পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

শান্তিপুরে তৃণমূলের ব্রজ কিশোর গোস্বামী ভোট পেয়েছেন পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি। উল্লেখযোগ্যভাবে এখানে সিপিএমের ভোট শতাংশ বেড়েছে। উপনির্বাচনে জয়লাভের পর কোনোরকম বিজয় মিছিল করা যাবে না বলে উচ্চ নেতৃত্ব জানিয়েছে। উন্নয়নের পক্ষে ভোট হয়েছে বলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, এই জয় জনগণের বিজয়। কারণ, বাংলা সর্বদা অপপ্রচার ও ঘৃণার রাজনীতির পরিবর্তে রয়েছে। তাই উন্নয়ন এবং ঐক্যকে বেছে নেবে মানুষ। জনগণের আশীর্বাদে, আমরা বাংলাকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”




Back to top button