পানীয় জলের পাইপ বসাতে ঠিকাদার টাকা তুলছে, শুনেই ছুটলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক, ধমকে ফেরালেন পাইপয়সা

গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প শুরু করেছে মমতা সরকার। এই প্রকল্পে বিনা পয়সায় গৃহস্থের বাড়িতে পাইপ লাইনে জল দেওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, ঠিকাদাররা জলের লাইন দেওয়ার জন্য প্রত্যেক বাড়ি থেকে ২ হাজার, ৩ হাজার করে টাকা তুলছে।

গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প শুরু করেছে মমতা সরকার। এই প্রকল্পে বিনা পয়সায় গৃহস্থের বাড়িতে পাইপ লাইনে জল দেওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, ঠিকাদাররা জলের লাইন দেওয়ার জন্য প্রত্যেক বাড়ি থেকে ২ হাজার, ৩ হাজার করে টাকা তুলছে। এ কথা জানতে পেরেই ঠিকাদারকে ব্যাপক ধমক দিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকের টাকা ফিরিয়েও দিয়েছেন তিনি।

হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার এগারো নম্বর ওয়ার্ড জগুদাসপাড়ায় পাইপ লাইস বসাচ্ছে পুরসভা। এই পাইপ লাইন মারফতই বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। অভিযোগ, ঠিকাদাররা পাইপ বসানোর জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা তুলছে। এর জন্য কোনও রসিদও দিচ্ছে না।

এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ দাস বলেন, ‘ঠিকাদার বলল, পাইপের জন্য টাকা দিতে হবে। পাইপের মাপ হিসেব করে দেখলাম আড়াই হাজার টাকা। ঠিকাদারকে পুরো টাকাটাই দিতে হল। জগুদাসপাড়ার আরেক বাসিন্দা নমিতা দাস বললেন, ‘রসিদ চেয়েছিলাম। কিন্তু দিল না। তারপরই টাকা ফেরত চাই। কিন্তু দেয়নি। তারপর বিধায়ক এসে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন’।

Chuchura,MLA Asit Majumdar,Water Connection

অভিযোগ উঠতেই স্থানীয় কাউন্সিলার মৌসুমী বসু, জল দফতরের সিআইসি দিব্যেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ঠিকাদার স্বর্ণাভ ঘোষও ছিলেন। স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে পুরো ঘটনা শুনে ঠিকাদারকে ধমক দেন তিনি। কেন টাকা নিয়েছেন, জিজ্ঞাসা করেন। তবে ঠিকাদার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপরই টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করেন। যার থেকে যত টাকা নেওয়া হয়েছিল, হিসেব করে সেই টাকা ফেরত দেয় ঠিকাদার।

ঠিকাদারের উদ্দেশ্যে বিধায়ক রীতিমতো ধমকের সুরে বলেন, ‘গরিব মানুষের পেটে যারা লাথি মারবে, আমি তাদের পেটে লাথি মারব’। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের বলেন, ‘আবার এরকম কিছু হলে যেন সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানানো হয়’। তাঁর কথায়, ‘জলের পাইপ লাইন বসানোর কাজে কাজ দেখার জন্য একজন নোডাল অফিসার রয়েছেন, কাউন্সিলর রয়েছেন, সিআইসি রয়েছেন। কেউ জানেন না টাকা নেওয়ার বিষয়ে। চেয়ারম্যান বা পুরসভাতেও কেউ অভিযোগ করেনি’।




Leave a Reply

Back to top button