কাবেরী জলবন্টনকে ঘিরে বেঙ্গালুরুতে ১২ ঘণ্টার বন্ধ
কাবেরী জলবন্টনকে ঘিরে বেঙ্গালুরুতে ১২ ঘণ্টার বন্ধ। সমর্থন পেলেও চাপে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

শুভঙ্কর, বেঙ্গালুরু: কাবেরী জলবন্টনকে ঘিরে উত্তাল দক্ষিণী রাজ্য কর্ণাটক। মঙ্গলবার ১২ ঘন্টা – সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা অবধি – বন্ধের ডাক দিয়েছে কর্নাটকের কৃষক সংগঠন কর্ণাটক জল সংরক্ষণ সমিতি এবং কন্নড়পন্থী একাধিক গোষ্ঠী। এই বন্ধ ডাকার জন্য চাপে পড়েছে বেঙ্গালুরুর সাধারণ মানুষ। এই মুহূর্তে ঠিক কি চিত্র উঠে আসছে বেঙ্গালুরু থেকে? জানা গিয়েছে, দোকানপাট, শপিং মল, সিনেমা হল, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ইত্যাদি পুরোপুরি বন্ধ। পরিবহনের দিক থেকে বাস, অ্যাপ ক্যাব, ট্যাক্সি, রিকসা, ইত্যাদি চলছে না। তবে বলে রাখা ভালো, এই বন্ধকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে স্থানীয় পরিবহন সংস্থাগুলি। তবে হাজার বন্ধের মাঝেও কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে ছাড়। নিত্য পরিষেবার জায়গাগুলি খোলা রাখা হয়েছে, যেমন হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, সরকারি দপ্তর, দুধের দোকান, পেট্রোল পাম্প, ইত্যাদি। তবে ছাড় নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির। জানা গিয়েছে সেই রাজ্যের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এই বন্ধকে সমর্থন করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিষয় ঠিক এমনটাই জানা গিয়েছে এক কৃষক ইউনিয়ন নেতা কুরবুর শান্তাকুমারের থেকে।
তবে পুলিশের থেকে জানা গেছে সম্পূর্ণ অন্য কথা। বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ জানিয়েছেন বন্ধের কোন অনুমতিই দেওয়া হয়নি এবং মাঝরাত থেকেই বেঙ্গালুরু শহরে জারি করা হবে ১৪৪ ধারা। যদিও এই মুহূর্তে গোটা বেঙ্গালুরু জুড়েই চলছে ১৪৪ ধারা। উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বরও গোটা কর্নাটক বন্ধের ডাক দিয়েছেন সমাজকর্মী ভাটাল নাগরাজ। গতকাল এক বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, “কন্নড়পন্থী সংগঠনগুলো এই বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে। কৃষক সংগঠন, লেখক, ব্যবসায়ী সকলেরই উচিত ২৯ সেপ্টেম্বরের বন্ধকে সমর্থন করা।”
প্রসঙ্গত, কাবেরী নদীর জলবন্টনকে রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। গত সোমবার কাবেরী জলবণ্টন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেয়, আগামী ১৫ দিন তামিলনাড়ুকে প্রতিদিন ৫০০০ কিউসেক জল দেওয়া হবে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধিতা করে কন্নড় কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, তামিলনাড়ুকে বেশি জল দেওয়া হলে চাষবাসের ক্ষতি হবে।