বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মন্দিরের দ্বার উদঘাটন পূজোর আগেই
নিউ জার্সিতে চতুর্থী থেকেই দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারবে অক্ষরধাম মন্দিরে। আসুন এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই অক্ষরধাম মন্দিরটি বিষয়ে।

শুভঙ্কর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: হাতেগুনে আর মাত্র কটা দিন বাকি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের। কিন্তু এই আনন্দের আগেই উদ্বোধন হচ্ছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মন্দির। মন্দিরটি উদ্বোধন হবে ৮ই অক্টোবর। আমেরিকার নিউ জার্সিতে রবিনসভিলেতে স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে পুজোর আগে। এই মন্দিরটি উৎসর্গ করা হয়েছে স্বামীর নারায়নকে। উনবিংশ শতাব্দীর মহাপুরুষ ছিলেন প্রমুখ স্বামী মহারাজ আধ্যাত্মিক উত্তরসূরী। তবে এই মন্দিরটি তৈরি করতে কত দিন বা বছর সময় লেগেছে জানেন? শুনলে হয়তো একটু চমকেই যাবেন। মন্দিরটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ১২ বছর। অর্থাৎ ২০১১ সাল থেকে শুরু হয়েছে নির্মাণকার্য। আর এই নির্মাণ কার্য শেষ হয়েছে ২০২৩ সালে। কি একটু অবাক হলেন তো। কিন্তু এটাই বাস্তব।
মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে ১৮৩ একর জমি জুড়ে। এই মন্দিরে থাকছে ১০ হাজারটি মূর্তি ও বিভিন্ন শিল্পকীর্তি। এছাড়াও থাকছে প্রাচীন ভারতের নানান মূর্তির আদলে তৈরি করা বিভিন্ন শিল্প-সজ্জা ও নকশা। এছাড়াও মন্দিরটিতে চূড়া রয়েছে ৯টি। এক সুত্র মারফত জানা গেছে, মন্দিরটির নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে, মার্কিন ডলারে ১৫০ মিলিয়ন। তবে কথা হয়েছিল ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হওয়ার। এছাড়াও মন্দিরটি নির্মাণ করতে যাবতীয় জিনিস বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা হয়েছে। যেমন মন্দিরের মার্বেল নিয়ে আসা হয়েছে গ্রিস, তুরস্ক, ইটালি থেকে। গ্রানাইট আনা হয়েছে ভারত থেকে। স্যান্ডস্টোন এসেছে চীন থেকে। লাইমস্টোন আনা হয়েছে বুলগেরিয়া ও তুরস্ক থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই মার্বেল গুলি মন্দিরটিকে বহুদিন অক্ষত রাখবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন।
এ তো গেল মন্দিরের বাইরের চাকচিক্য। এবার আসি মন্দিরের ভেতরের কথায়। মনিরের ভেতরে রয়েছে একটি ব্রহ্ম কুণ্ডু। জানা যাচ্ছে সেখানে ৩০০ টি জলধারার জল রয়েছে। এই ৩০০ টি জলধারার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পবিত্র নদীর জল। আর ৫০ টি জলধারা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ৮ই অক্টোবর মন্দিরটি উদ্বোধন হলেও চতুর্থীর দিন অর্থাৎ ১৮ই অক্টোবর দর্শনার্থীদের জন্য এই মন্দিরের দ্বার খুলে যাবে।