বুধবার থেকে খুলে গেল ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুট মিল
চাকরি ফিরে পেলো প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক

শুভঙ্কর, উত্তর ২৪ পরগনা: আর হাতে মাত্র কটা দিন। তারপরই শুরু হবে এই রাজ্যের সবচেয়ে বড় পুজো বা সবচেয়ে বড় উৎসব। একদমই ঠিক ধরেছেন সেই পুজো আর কিছু নয়, সেটি হলো দেবী দুর্গার পুজো। অর্থাৎ দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গেছে পুজোর শপিং। কলকাতার বড় শপিং মল থেকে গ্রামের হাট, সব জায়গায়ই এই মুহূর্তে পুজো প্রেমীরা ভিড় জমিয়েছে প্যান্ডেল হপিং করার জন্য নতুন ড্রেস কিনতে।
তবে পুজোর আনন্দ উপভোগ করার জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, সেটি হলো অর্থ। এই অর্থ থাকলেই মানুষ নিশ্চিন্তে শুধু দুর্গাপুজো নয়, যেকোনো উৎসবই আনন্দের সাথে উপভোগ করতে পারে। এই দুর্গাপুজো সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর লোকেরই খুব প্রিয়। তবে এবারের দুর্গাপুজো নিয়ে এলো এক অন্যরকম খুশির খবর। আর এই খুশির খবরটা শ্রমিক শ্রেণীর লোকেদের জন্য। জানতে চান কি সেই খুশির খবর? চলুন তাহলে নিয়ে যায় মূল বিষয়ে। অবশেষে ভাটপাড়ার শ্রমিক শ্রেণীর লোকেদের মুখে ফুটলো হাসি। ফিরে পেলেন তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস। কেন? কি এমন হলো? বুধবার থেকে খুলে গেল ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুট মিল। যদিও মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গেছিল কারখানার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সবচেয়ে বেশি খুশি করার মতো খবর, সেটি হল পুজো শুরুর কয়েকদিন আগেই কাজ ফিরে পেলেন অন্তত ৫ হাজার শ্রমিক।
তবে মাঝখানে ভুল মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে বিবাদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই জুট মিলটি। কেন? কি ঘটেছিল? কিছুদিন আগে এক শ্রমিকের সঙ্গে মালিকের বিবাদ হওয়ার পর শুরু হয় হাতাহাতি। জল গড়ায় পুলিশ পর্যন্ত। সেই শ্রমিককে কাছ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। পরে যদিও মীমাংসা হয়ে গেছিলো। ঘটনাটি ঘিরেই গত সপ্তাহে নতুন করে অশান্তি ছড়ায়। অভিযুক্ত সেই শ্রমিককে কাজের যোগ দিতে দেয় না মিল কর্তৃপক্ষ আর তারপরই বাকি শ্রমিকরা কারখানার সমস্ত কাজ বন্ধ করে বেরিয়ে যায়। এমনকি, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে টেম্পোরারি সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর দুই পক্ষের আলোচনায় অবশেষে ভুল বোঝাবুঝি মিটে পুজোর আগেই খুলে গেল জুট মিল। আর এতেই খুশি শ্রমিকেরা।