এশিয়ান গেমসে সোনা জয় ৬০ বছরের আব্দুল্লাহ আল-রশিদির
৬০ বছর বয়সে সোনা জয় আব্দুল্লাহ আল-রশিদির। এই নিয়ে চতুর্থবার সোনা জিতলেন তিনি।

শুভঙ্কর,হানঝাউ,: যতোই বয়স বাড়ুক তাতে কি, খেলোয়াড় খেলোয়াড়ই থাকে। সবকিছুই অভিজ্ঞতার কামাল। যেখানে অল্পবয়সী ছেলের মাত খাচ্ছে, সেখানে ওস্তাদি দেখিয়ে দিলেন এক ৬০ বছরের বৃদ্ধ। বুড়ো হাড়েই ভেলকি দেখালেন তিনি। ১৯তম এশিয়ান গেমসে পুরুষদের স্কিট ইভেন্টে সোনা জিতলেন ৬০ বছরের আবদুল্লাহ আল-রশিদি। জানা গিয়েছে, এটি আবদুল্লাহ আল-রশিদির চতুর্থ সোনা জয় এশিয়াডে। আবদুল্লাহ আল-রশিদির এই জয়ে যেমন মুগধ নেটিজেন থেকে ক্রীড়াপ্রেমী সকলেই, তেমনি একইসাথে এই প্রশ্নও উঠে আসছে যে এই বয়সে এরম একটা বড়ো সাফল্য কিভাবে সম্ভব? ১৯তম এশিয়ান গেমসে যেখানে অল্প বয়সী ছেলেরা সোনা জিততে হাবুডুবু খাচ্ছে সেখানে কিনা একজন বুড়ো, একেবারে সিনিয়র সিটিজেন, সে কিভাবে বাজিমাত করলো? এটাই এই মুহূর্তে বড়ো প্রশ্ন জয়ের পরে। জানতে চান কিভাবে বা কিসের রাস্তায় এলো এই সোনা জয়? কি সেই সাক্সেস মন্ত্রো? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ‘সাক্সেস মন্ত্রো’।
এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং আবদুল্লাহ আল-রশিদি নিজেই। তিনি জানান, “ চতুর্থ স্বর্ণপদক জিততে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। সত্যি বলতে গেলে আমি প্রতিদিন খেলার সাথে যুক্ত থাকি। আর হ্যাঁ আমি ব্যায়াম করি, সাঁতার কাটি এবং শরীরের জন্য ভালো খাদ্যও খাই। তিনি আরও জানান, “নিজের শরীরকে শক্তিশালী রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। ফোন আর টুইটার আমি ব্যবহার করিনা আমার চোখের ক্ষতি হবে বলে। নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যের দিকে সর্বদাই নজর রাখি। ঠিক সময়ে ঘুমাই এবং ঠিক সময় উঠিও।”
প্রসঙ্গত, এদিন পুরুষদের স্কিট ফাইনালে ৬০-এ ৬০ স্কোর করে আবদুল্লাহ আল-রশিদি। ভারতের শুটার অনন্তজিত ৫৮ স্কোর করে। তিনি রুপো পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বলে রাখা ভালো ভারতের এই শুটার বছর ৩৫ ছোটো আল-রশিদির থেকে। যেই বছরে অনন্তজিতের জন্ম হয়, অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে, সেই সময় আবদুল্লাহ আল-রশিদি তৃতীয় বিশ্ব খেতাব জেতেন।