অ্যামাজন জঙ্গলে টেফে হ্রদে ডলফিনের মৃতদেহ
প্রবল তাপমাত্রা ও খরার জন্য বাঁচা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে মানুষসহ ডলফিনের।

শুভঙ্কর, ব্রাজিল: ডলফিন আমরা দেখতে কে বা না ভালোবাসি। সমৃতি ডলফিনের দেখা যায় না বললেই চলে। তবে বিশেষ বিশেষ কিছু জায়গায় এখনও ডলফিন দেখা যায়। কিন্তু সম্প্রীতি এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এক ভয়ঙ্কর তথ্য। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছেন মামিরাউয়া ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে ব্রাজিলে আমাজন জঙ্গলে টেফে হ্রদে প্রায় গত সাত দিনে ১০০ডিরও বেশি ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে উঠেছে। যা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে পরিবেশবিদরা। আর এই কারণেই যে কটি ডলফিন সুস্থ আছে তাদেরকে আপাতত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নদী এবং বড় জলাধারে।
এই ডলফিন্ডের মৃত্যুর আসল কারণ কি তা আপাতত তদন্ত সাপেক্ষ। তবে আপাতত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন লেকের জলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুই ছুই। আর সেই কারণেই হয়তো তারা মারা যাচ্ছে। ডলফিন সবসময় শীতল জলে বেঁচে থাকতে পারে। বর্তমানে অ্যামাজনে প্রচন্ড তাপমাত্রা ও খরার ফলে মানুষের পাশাপাশি তাদেরও বেঁচে থাকতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম ট্রপিক্যাল রেনফরেস্ট অ্যামাজন জঙ্গল। এই জঙ্গল দিয়ে অনেকটা বিস্তৃত জুড়ে রয়েছে। এর আকার এতটাই যা গোটা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের সমান। কিন্তু এই আমাজনেই এখন আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি তাতে নদীপুকুর সব কিছুরই জলস্তর কমে যাচ্ছে। মাঠ ঘাট সবই ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ৫৯টি পৌরসভা এলাকার জলস্তর প্রায় স্বাভাবিকের থেকে নেমে গেছে। একদিকে প্রবল তাপমাত্রা আরেকদিকে খরা যার ফলে ওই অঞ্চলে বসবাসকারী এক লক্ষ পরিবারের খুবই সমস্যা হচ্ছে। সেখানে খাবার বা অন্যান্য জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়ার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ছিল জলপথ। কিন্তু করার কারণে সেই জলপথও শুকিয়ে যাচ্ছে। আর এর ফলেই সমস্যায় পড়েছেন তারা। তবে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য সরকারের তরফ থেকে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
এই ঘটনার জন্য পরিবেশবিদরা খুবই উদ্বেগে রয়েছে। কারণ এখান থেকে ডলফিন কোন জায়গায় স্থানান্তর করা হলে তারা সেখানে কতটা নিরাপদে থাকবে এখন অব্দি বোঝা যাচ্ছেনা। কোন বন্যপ্রাণীদের অন্য জায়গায় ছেড়ে দেওয়ার আগে সেখানকার টক্সিন ভাইরাস রয়েছে কিনা তা যাচাই করা খুবই জরুরী। কিন্তু সেসব কিছুই না করে এমাজন থেকে সুস্থ ডলফিন গুলিকে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানে তারা কতটা মানিয়ে নিতে পারবে বোঝা মুশকিল।