যন্তরমন্তরে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি, রয়েছে কড়া নিরাপত্তা
গরম রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতি, যন্তরমন্তরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হবে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি।

শুভঙ্কর, দিল্লি: গতকাল রাজঘাটের পর আজ ৩ অক্টোবর রাজধানী, অর্থাৎ দিল্লির, যন্তরমন্তরে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে বসবেন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের এই ‘দিল্লি চলো’ অভিযান ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস ১০০ দিনের টাকা আটকে দেওয়া, আবাস যোজনায় বাড়ি না পাওয়া, ইত্যাদিকে ঘিরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলছে। তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারও শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে আঙুল তুলছে, যেমন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, কাটমানি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুট, ইত্যাদি। সব মিলিয়ে গরম রাজ্য ও জাতীয় স্তরের রাজনীতি। এই মিছিলে যাতে কোনরকমের অশান্তি না হয়, এই কারণে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ এবং র্যাপিড একশন ফোর্স। তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দিল্লি জুড়ে।
প্রসঙ্গত, গতকাল রাজঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লী পুলিশের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তোলে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি হয় এবং তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদরা। রাজঘাট থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এবং জানান, ১০ মিনিট অন্তর অন্তর কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করেছ সেই রাজ্যের পুলিশ। পাশাপাশি তিনি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকদের উপর অত্যাচারের অভিযোগও তোলেন। শুধু এখানেই শেষ নয়, দিল্লি পুলিশের উপর পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেসকে যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, কিন্তু বাংলার বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের সেই জায়গায় বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে আজকের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই কর্মসূচি থেকে বোঝা যেতে পারে দিল্লিতে এবার প্রভাব বেশি কার। মোদি সরকার কি সফল হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে রুখে দিতে?