Rajkummar Rao : নির্বাচন কমিশনের জাতীয় আইকন হতে চলেছেন রাজকুমার রাও
অভিনয়ের জন্যই বিশেষ সম্মাননা পেতে চলছেন রাজকুমার রাও। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইলেকশন কমিশন।

Election 2023: নির্বাচন কমিশনের জাতীয় আইকন (national icon) হিসেবে ঘোষিত হতে চলেছেন তিনি। বারংবার তার নানান চরিত্রে অভিনয়ের দ্বারা মন জিতে নিয়েছে দেশের প্রত্যেকটি দর্শকের। তাই এবার সেই অভিনয়ের জোরেই অর্জন করতে চলেছেন এক অনন্য সম্মান।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বুধবার এক বিবৃতিতে জানানো হলো যে এবার তাকে সম্মানিত কটা হবে ‘ জাতীয় আইকনের’ খেতাব তার হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে দেওয়ার মাধ্যমে। আর সেই বিষয় নিয়েই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানালো নির্বাচন কমিশন।এই বছরে এখনো পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, মিজোরাম (৭ নভেম্বর), ছত্তীসগঢ় (৭, ১৭ নভেম্বর), মধ্যপ্রদেশ (১৭ নভেম্বর), তেলঙ্গানা (৩০ নভেম্বর) এবং রাজস্থানে (২৫ নভেম্বর)। ওই পাঁচ রাজ্যে মোট ভোটদাতার সংখ্যা ১৬ কোটি ১০ লক্ষ। তার আগেই জাতীয় আইকন হিসেবে রাজকুমার রাওয়ের নাম ঘোষণা করা হল নির্বাচন কমিশনের (election commission of india) তরফে।
তবে কেন রাজকুমার রাওকে জাতীয় আইকন হিসেবে বেছে নেওয়া হলো সেই কারণ না জানানো হলেও এর পিছনে মূল কারণ রয়েছে তার২০১৭ সাকে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘নিউটনে ‘ অভিনয়ের জন্য।ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাকে কেন্দ্র করে গল্প বোনা হয় ‘নিউটন’ ছবির। মাত্র ৭৬ জন আদিবাসীর ভোটগ্রহণ করতে হিমশিম খেতে হয় ‘নিউটন’কে। নামে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা বলে পরিচিত হলেও, যত সময় এগোয়, ‘নিউটন’ বুঝতে পারেন, পরিস্থিতি একেবারে উল্টো। অশ্বাসবাণী দেওয়া সত্ত্বেও ভোট দিতে আসার সাহস পান না সেখানকার আদিবাসী বাসিন্দারা। সব দেখেও নিরুত্তাপ সেনা। এমনকি ভোটাধিকার সম্পর্কে অবগত নন স্থানীয় মানুষজনও। কেন ভোট দেবেন, টাকা মিলবে কি, প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
কিন্তু শিক্ষিত ‘নিউটন’ এই অপারগতা মেনে নিতে পারেন না। গণতন্ত্রে ভোট না হলে, গণতন্ত্রের অপমান হয় বলে অনুধাবন করেন তিনি। গণতন্ত্রের অপমান হয় বলে অনুধাবন করেন ‘নিউটন’। শেষ পর্যন্ত নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভোট করাতে উদ্যোগী হন। নূতনকুমার কেন ‘নিউটন’ হলেন, তার ব্যাখ্যাও রয়েছে ছবিতে।তাই মূলত এই নিউটন ছবিতে যা অসম্ভব তাকেও সম্ভব করে তোলার মাধ্যমে যে ব্যক্তিত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে তার কারনেই রাজকুমারকে এই সম্মানের যোগ্য বলে মনে করেছেন নির্বাচন কমিশন।