সিঙ্গুরে বড় ধাক্কা রাজ্যের, টাটাদের বিরুদ্ধে ফের আদালতে মমতা সরকার
টাটা মোটর্সকে প্রায় ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। তবে ক্ষতিপূরণের যে অংকের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা নিয়ে একেবারেই সহমত নন রাজ্য সরকার।

সিঙ্গুর: রেশন দুর্নীতি মামলাকে ঘিরে চাপের মাঝেই নতুন চাপে রাজ্য সরকার। এবার সিঙ্গুর মামলায় বড় ধাক্কা খেলো তৃণমূল কংগ্রেস। টাটা মোটর্সকে প্রায় ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল এই মামলার সঙ্গে যুক্ত তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। তবে ক্ষতিপূরণের যে অংকের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা নিয়ে একেবারেই সহমত নন রাজ্য সরকার। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জানা গিয়েছে, এই রায় ঘোষণার পরই আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের আধিকারিকেরা। তবে কার দ্বারস্থ হবে, হাইকোর্ট না সুপ্রিম কোর্ট, সেই বিষয়ে এখনো অবধি কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ট্রাইব্যুনালের রায়, যেহেতু সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো কারখানা তুলে নেওয়া হয়েছে, তাই ২০১৬ সাল থেকে ১১ শতাংশ সুদ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে এবং এই ক্ষতিপূরণ টাটাকে দেবে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম৷ এর সাথে আরও এক কোটি টাকা দিতে হবে টাটাদের মামলার খরচ বাবদ। যদিও এই সম্বন্ধে টাটা মোটরসের বক্তব্য, “সিঙ্গুরে অটোমোবাইল উৎপাদন কারখানা মামলায় রায় আমাদের পক্ষেই গেছে। রাজ্য সরকারকে আমাদেরকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে বলা হয়েছে ৭৬৫ কোটি টাকা। এছাড়াও ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়া পর্যন্ত বার্ষিক ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।”
তবে রাজ্য সরকারের এই ধাক্কাতে খুশি হয়েছে বামেরা। বর্ষিয়ান সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম এই বিষয়ে জানান, “একটি উৎপাদন মূলক কারখানা থেকে শুরু করে চাকরিপ্রার্থীদের স্বপ্ন সবকিছুই গুঁড়িয়ে দিয়েছে এই রাজ্য সরকার। মমতা ব্যানার্জি নরেন্দ্র মোদিকে যে উপহার দিয়েছিলেন, সেটার মাশুল দিতে হচ্ছে আজ রাজ্যকে। আমরা কোনদিন এই বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করবো না।” পাশাপাশি এই রায়ের পর তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন আরও এক বর্ষিয়ান সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার জন্য যে কীর্তিগুলি করেছিলেন, সেগুলি আজ সব প্রকাশ্যে আসছে। সব ধরা পড়ছে।”