হেলমেট না পড়াই বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি দেখে নিন প্রতিদিন বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পরিমাণ!
আপনি কি হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালান তাহলে আজ দেখুন প্রতিদিন বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পরিমান!

কলকাতা: আপনি কি হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালান বা কখনো তাড়াহুড়োয় হেলমেট ছাড়াই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন? তাহলে এই খবরটি আপনার জন্য।
জানেন কি প্রতিদিন বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ঠিক কতজনের? চলুন দেখিনি আজ সমীক্ষা রিপোর্ট। কেন্দ্রের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি ঘণ্টায় বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৯ জনের। এই রিপোর্ট যথেষ্ট উদ্বেগজনক। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া ১৯ জন বাইকারের মধ্যে ৬ জন হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালান, যা সত্যিই উদ্বেগজনক। যদিও টু হুইলার চালককে হেলমেট পরতে হবে এবং চার চাকা চালককে সিটবেল্ট বাঁধতে হবে। এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে এখনও বহু চালক এই নিয়ম না মেনেই প্রতিনিয়ত রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তবুও অসাবধানতার কারণে প্রত্যেকদিনই উঠে আসছে নানান পথদুর্ঘটনার খবর। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর কোলে ধরে পড়ছে তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে বাইক আরোহীদের একাংশ।
ইতিমধ্যেই, কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা সাড়ে চার লাখ পেরিয়েছে। তার মধ্যে মৃতের সংখ্যাও বেশ ভয় ধরানো। সাবধানতা অবলম্বনে জন্য প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে ট্রাফিক পুলিশ তবুও আটকানো যাচ্ছে না দুর্ঘটনার রিপোর্ট। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখা যায় ঔদ্ধত্য এবং ফ্যাশন ফলো করতে গিয়ে লাগামছাড়া বাইকের গতি কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এইসব দুর্ঘটনার। বহু বাবা- মায়ের খালি হয়ে যাচ্ছে কোল। প্রত্যেক বছরই বিশিষ্ট একটি দিনে ট্রাফিক পুলিশ গার্ডের তরফে সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয় এবং নিয়ম মেনে নিজের সেফটির জন্য ব্যবহার করতে বলা হয় সিট বেল্ট এবং হেলমেটের তবুও এই অনীহা মৃত্যুর ঝুঁকিকে যে আহ্বান জানাচ্ছে তা রিপোর্ট বলে দিচ্ছে। আজই সাবধান হোন এবং সাবধান করুন আপনার পারিপার্শ্বিকদের আপনার একটি সাবধানতা বাঁচাতে পারে বহু প্রাণ। তাই নিয়মমাফিক ভাবে হেলমেট পড়ুন অথবা সিট বেল্ট বাঁধুন এবং আপনার পরিজনদেরকে এই বার্তা ছড়িয়ে দিন, যাতে এই মৃত্যুর পরিসংখ্যান আরও বৃদ্ধি না পায় এবং আপনার আপনজন যাতে দিনের শেষে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরতে পারে তার দায়িত্ব আপনারই, ও সুস্থভাবে বাঁচুন আপনি এবং বাঁচান সমাজকেও।